চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ফাতেমা বেগম (৪৬) নামে এক নারীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ সময় কুপিয়ে জখম করা হয় আরও তিন জনকে। ঘটনায় সঙ্গে জড়িত এহসান (২৮) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।

সোমবার (১২ জুলাই) সকালে বাঁশখালীর শীলকুপ এলাকার দাস পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিউল কবির ঢাকা পোস্টকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহত ফাতেমা বেগম (৪৬) চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার শীলকুপ দাস পাড়া এলাকার মোস্তাক আহমেদ সিকদারের স্ত্রী। আহতরা হলেন- রাবিয়া বেগম (৪০) জান্নাতুল ফেরদৌস (২২) ও শিশু বৃষ্টি (৯)।

পুলিশ কর্মকর্তা শফিউল কবির বলেন, ফাতেমা আক্তার মানুষের বিভিন্ন রোগের তাবিজ দিতেন। এক বছর আগে এহসান তার কাছ থেকে তাবিজ নিয়েছিলেন। কিন্তু তাতে এহসানের কোনো কাজ হয়নি। এই নিয়ে সোমবার সকালে ফাতেমার বাসায় এসে বাকবিতণ্ডায় জড়ান এহসান। বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে তিনি ফাতেমাকে এলোপাতাড়ি কোপাতে শুরু করেন। এ সময় বাধা দিতে গেলে আরও তিনজনকে কুপিয়ে জখম করেন।

তিনি আরও বলেন, পরে খবর পেয়ে ফাতেমাসহ চারজনকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো। হাসপাতালে চিকিৎসক ফাতেমাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পরপরই হামলাকারী এহসানকে আটক করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই শীলব্রত বড়ুয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, বাঁশখালী থেকে আহত অবস্থায় চারজনকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। এরমধ্যে ফাতেমাকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। বাকি তিনজন হাসপাতালের ২৬নং ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন। তাদের অবস্থাও গুরুতর বলে চিকিৎসকের বরাত দিয়ে তিনি জানিয়েছেন।

নিহত ফাতেমার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

কেএম/এমএইচএস