ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, সরকারি নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে কোরবানির পশুর হাট পরিচালিত হবে।

রোববার (১১ জুলাই) গুলশানের নগর ভবনে কোরবানির পশুর হাট মনিটরিং কমিটির সদস্য ও ইজারাদারদের সঙ্গে এক সমন্বিত সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় একটি স্থায়ী ও ৯টি অস্থায়ীসহ মোট ১০টি পশুর হাট বসানো হবে। পশুর হাটগুলো মনিটরিং করার জন্য এরইমধ্যে ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. মফিজুর রহমানকে আহ্বায়ক করে ১৪ সদস্যের একটি মনিটরিং কমিটি করা হয়েছে। এই কমিটিতে ১২ জন কাউন্সিলর ছাড়াও ডিএনসিসির ২ জন ভেটেরিনারি কর্মকর্তা রয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, প্রতিটি হাটেই শক্তি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে একশ প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবক, দুইশ গেঞ্জি এবং পর্যাপ্ত সংখ্যক মাস্ক দেওয়া হবে। এছাড়াও ইজারাদারদের পক্ষ থেকে সব হাটেই হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় অন্যান্য সামগ্রী সরবরাহ করা হবে। প্রত্যেকটি হাটে প্রয়োজনীয় সংখ্যক সিসি ক্যামেরা এবং তাপমাত্রা পরিমাপক যন্ত্রের ব্যবস্থা করা হবে।

আতিকুল ইসলাম বলেন, হাটগুলোতে সামাজিক দূরত্ব যথাযথভাবে বজায় রাখতে হবে, ক্রেতা এবং বিক্রেতা উভয়কে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। হাটগুলোর প্রবেশ ও বের হওয়ার পথ আলাদা থাকতে হবে এবং নিয়মিত পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার ব্যবস্থা করা হবে। কোরবানির হাটের পশুগুলো সর্বসাধারণের জন্য অনলাইনে প্রদর্শনের ব্যবস্থাও করা হবে।

এএসএস/জেডএস