রাজধানীর গুলশানের চেকপোস্টে একটি বেপরোয়া গাড়ি ধাক্কায় আহত হন পুলিশের এএসআই লিটন মিয়া। সাত দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর রোববার (১১ জুলাই) দুপুরে জাতীয় নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে তিনি মৃত্যুর কাছে হার মেনেছেন।

ডিএমপির গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) সুদীপ কুমার ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ঘাতক চালককে গাড়িসহ গ্রেফতার করা হয়েছে।’

পুলিশের গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি-গুলশান জোন) নাজমুল হাসান এ বিষয়ে ঢাকা পোস্টকে বলেন, ৪ জুলাই রাতে কঠোর বিধিনিষেধ নিশ্চিতে গুলশান-১ নম্বরের শুটিং ক্লাবের বিপরীতে চেকপোস্টে কর্মরত ছিলেন এএসআই লিটন মিয়া। এ সময় একটি গাড়ি চেকপোস্টের দিকে দ্রুতগতিতে আসছিল। তা দেখে গাড়িটিকে থামার সিগনাল দেন লিটন। তবে গাড়িচালক গাড়িটি না থামিয়ে লিটন মিয়াকে ধাক্কা দেন।

ধাক্কা দেওয়ার পর লিটন গাড়ির বোনেটের ওপরই পড়েছিলেন। সে অবস্থাতেই লিটনকে নিয়েই গাড়ি চালিয়ে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে যায় ওই চালক। পরে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার পুলিশ এএসআই লিটনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়।

গুলশান থানা জানায়, গত রোববার রাতে কালো রঙের ওই প্রাইভেটকারটি চালাচ্ছিলেন তাওহিদুল ইসলাম নামে এক যুবক। তিনি লিটনকে বোনেটের ওপরে করেই তেজগাঁওয়ের শান্তা টাওয়ারের সামনে গিয়ে ফেলে রেখে পালিয়ে যান। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।

খবর পেয়ে গুলশান থানা ক্লোজ সার্কিট টেলিভিশন (সিসিটিভি) ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে ওই গাড়ির নম্বর খুঁজে বের করে। সোমবার গ্রেফতার করা হয় গাড়িচালককে। মঙ্গলবার তাকে এক দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।

গুলশান থানার জানায়, আসামির বিরুদ্ধে হত্যা ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি করে মামলা হয়েছে।

এমএসি/এআর/এমএইচএস