রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, পরিকল্পিত পরিবার একটি দেশের উন্নয়নের অন্যতম পূর্বশর্ত। পরিবারের আকার ছোট হলে তা পরিবারের সদস্যদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসহ অন্যান্য মৌলিক অধিকার পূরণের পাশাপাশি সুখী ও সমৃদ্ধশালী দেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 

১১ জুলাই, বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষে শনিবার (১০ জুলাই) দেওয়া এক বাণীতে এসব কথা বলেন রাষ্ট্রপতি। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘অধিকার ও পছন্দই মূল কথা : প্রজননস্বাস্থ্য ও অধিকার প্রাধান্য পেলে কাঙ্ক্ষিত জন্মহারে সমাধান মেলে’। 

মো. আবদুল হামিদ বলেন, দারিদ্র্যের সঙ্গে জনসংখ্যা বৃদ্ধির একটা সম্পর্ক রয়েছে। তাই দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার সীমিত রেখে দারিদ্র্য বিমোচনসহ শিক্ষার হার ও কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ানোর মাধ্যমে দেশের বিশাল কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীকে জনসম্পদে পরিণত করতে হবে।

তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারির কারণে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে জনসংখ্যা বিস্ফোরণের আশঙ্কা রয়েছে। তাই এ সময় দেশে প্রজননস্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট কর্মসূচি আরও জোরদার করতে হবে এবং চলমান কর্মসূচিগুলোতে উদ্ভাবনীমূলক কর্মকাণ্ডের সন্নিবেশ ঘটাতে হবে।  

রাষ্ট্রপতি বলেন, মহামারির এ সময়ে অধিক সন্তানের জন্মরোধ ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের প্রতিটি প্রান্তে সক্ষম দম্পতিদের নিকট পরিবার পরিকল্পনা সেবা সঠিক সময়ে পৌঁছে দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।  

তিনি বলেন, প্রজননস্বাস্থ্য প্রত্যেক নর-নারীর অধিকার। নিরাপদ মাতৃত্ব ও প্রসূতি সেবা, মা ও শিশুস্বাস্থ্য পরিচর্যা, নারীদের সন্তান গ্রহণের সিদ্ধান্তসহ নারীর যথাযথ মর্যাদা ও সম্মানের সাথে বেঁচে থাকার নিশ্চয়তা প্রদান করে প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা। 

দেশে বিদ্যমান সেবা অবকাঠামোসমূহের সর্বোত্তম ব্যবহার এবং মানসম্মত প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা প্রদান নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সবার নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে রাষ্ট্রপতি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। তিনি ‘বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস-২০২১’ উপলক্ষে নেওয়া সব কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।

এইউএ/আরএইচ