ব্যক্তিগত গাড়ি বাড়ছে সড়কে
রাজধানীতে মোটরসাইকেল, রিকশায় জরুরি প্রয়োজনে সাধারণ জনগণ গন্তব্যে গেলেও আগের তুলনায় সড়কে ব্যক্তিগত গাড়ি বেড়েছে। গাড়ির পাশাপাশি রিকশার সংখ্যাও তুলনামূলকভাবে অনেক বেড়েছে। তবে পুলিশি কড়া নজরদারি রয়েছে। অপ্রয়োজনে কেউ বের হলে মামলা দিচ্ছে।
শনিবার (১০ জুলাই) রাজধানীর রূপনগর, মিরপুর-১, ২, ১০ নম্বর এবং টেকনিক্যালে পুলিশি চেকপোস্টের কড়া নজরদারি থাকলেও আগের তুলনায় জরুরি প্রয়োজনে বের হওয়া মানুষের সংখ্যা বেড়েছে।
বিজ্ঞাপন
রাজধানীর মিরপুর-১ নম্বর ফুট-ওভারব্রিজের নিচে সরেজমিনে দেখা গেছে, কাজের খোঁজে দিনমজুররা বসে থাকছেন। কাজ না করলে পরিবার নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে বলে লকডাউনে বের হতে বাধ্য হয়েছেন বলে ঢাকা পোস্টকে জানান কয়েকজন দিনমজুর।
এদিকে রাস্তায় রিকশার যাত্রী কম হওয়ায় প্রত্যাশা অনুযায়ী আয় হচ্ছে না বলে জানান রিকশাচালকরা। জমার টাকা তুলতেই কষ্ট হচ্ছে।
সাদেক নামের একজন রিকশাচালক ঢাকা পোস্টকে বলেন, লকডাউনের আগে ভালো আয় হতো। কিন্তু লকডাউনের পর থেকে সেভাবে আয় হচ্ছে না। আগে প্রতিদিন জমার টাকা দিয়েও এক হাজার টাকার বেশি আয় করতে পারতাম। কিন্তু এখন জমার টাকা ও খাওয়ার টাকা জোগাড় করতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। এজন্য প্রতিদিন রিকশা নিয়ে বের হই না। মাঝে মাঝে বা একদিন পর রিকশা চালাচ্ছি।
মিরপুর-১ নম্বরে ফুট-ওভারব্রিজের নিচে বিভিন্ন পেশার মানুষের শ্রম বিকিকিনির হাট বসেছে। লকডাউনের আগে এ হাট জমজমাটভাবে বসলেও বর্তমানে সীমিত পরিসরে বসছে। যেকেউ চাইলেই এখান থেকে প্রয়োজন দিন চুক্তিতে শ্রমিক নিতে পারেন। কাজ ও পেশা অনুযায়ী তাদের মজুরিও ভিন্ন।
শ্রম বিক্রি করতে আসা তপন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি একজন রাজমিস্ত্রি। প্রতিদিন এখান থেকেই কাজে যাই। এবার কঠোর লকডাউনের ফলে আর সেভাবে কাজ পাচ্ছি না। আয় কমেছে, পরিবার নিয়ে চলতে কষ্ট হচ্ছে। অতি প্রয়োজনীয় না হলে কেউ এখন কাজ করান না।
করোনা সংক্রমণ বাড়ার ফলে এবার সারাদেশে কঠোর লকডাউন পালন করছে সরকার। ১ জুলাই থেকে এক সপ্তাহের লকডাউন দিলেও পরবর্তীতে তা আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। কঠোর লকডাউন সফল করতে দূরপাল্লার পরিবহনসহ সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধ করেছে। তবে রিকশা ও মোটরসাইকেল বিধিনিষেধের আওতার বাইরে আছে।
এসআর/এইচকে