দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। এ কারণে গত ১ জুলাই থেকে সারাদেশে কঠোর বিধিনিষেধ জারি করেছে সরকার। দুই সপ্তাহের বিধিনিষেধের প্রথম আট দিনে পরিস্থিতির তেমন কোনো উন্নতি হয়নি। প্রতিদিনই আক্রান্ত ও মৃত্যুর নতুন রেকর্ড হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায়ও দেশে করোনায় মৃত্যুর রেকর্ড হয়েছে। এ সময় মৃত্যু হয়েছে ২১২ জনের। আর শনাক্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৩২৪ জন। ফলে আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ১০ লাখ। আর মৃত্যু ছাড়িয়েছে ১৬ হাজার।

২৯ জুন পর্যন্ত করোনায় মোট আক্রান্ত হয়েছিল ৯ লাখ ৪ হাজার ৪৩৬ জন। এরপরের ১০ দিনে অর্থাৎ, ৯ জুলাই পর্যন্ত নতুন করে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন আরও এক লাখ মানুষ।

গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। তারপর ১৮ জুন আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ছাড়ায়। এতে সময় লাগে ১০৩ দিন।

এরপর ১৮ জুলাই শনাক্তের সংখ্যা ২ লাখ ছাড়ায়। অর্থাৎ, ৩০ দিনেই করোনায় আক্রান্ত হন আরও এক লাখ মানুষ। ২৬ আগস্ট সংক্রমণ ছাড়ায় তিন লাখ। সময় লাগে ৩৯ দিন।

এর ৬১ দিন পর ২৬ অক্টোবর শনাক্ত চার লাখ ছাড়ায়। ২০ ডিসেম্বর শনাক্ত পাঁচ লাখ ছাড়িয়ে যায়। সময় লাগে ৫৫ দিন।

পরের একশ দিনে আক্রান্ত হন আরও এক লাখ মানুষ। ফলে ২০২১ সালের ২৯ মার্চ শনাক্তের সংখ্যা ছয় লাখ ছাড়ায়। ১৪ এপ্রিল শনাক্ত সাত লাখ ছাড়ায়, সময় লাগে ১৬ দিন।

এর ৪৭ দিন পর অর্থাৎ ৩১ মে শনাক্তের সংখ্যা আট লাখ ছাড়ায়। ২৯ জুন শনাক্ত নয় লাখ ছাড়িয়ে যায়। সময় লাগে ২৯ দিন। তারপরের ১০ দিনেই অর্থাৎ, ৯ জুলাই শনাক্ত ছাড়ায় ১০ লাখ।

দেশে করোনা শনাক্তের ১০ দিন পর প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এর ৮৫ দিন পর অর্থাৎ, ১০ জুন মৃত্যুর সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়ে যায়। ৫ জুলাই মৃত্যুর সংখ্যা দুই হাজার ছাড়িয়ে যায়। অর্থাৎ, ২৫ দিনে আরও এক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।

২৮ জুলাই মৃত্যুর সংখ্যা তিন হাজার ছাড়িয়ে যায়। সময় লাগে ২৩ দিন। এর ২৮ দিন পর অর্থাৎ, ২৫ আগস্ট মৃত্যুর সংখ্যা চার হাজার ছাড়িয়ে যায়।

২২ সেপ্টেম্বর মৃত্যুর সংখ্যা পাঁচ হাজার ছাড়িয়ে যায়। সময় লাগে ২৮ দিন। এর ৪৪ দিন পর অর্থাৎ, ৪ নভেম্বর মৃত্যুর সংখ্যা ছয় হাজার ছাড়িয়ে যায়।

১২ ডিসেম্বর মৃত্যুর সংখ্যা সাত হাজার ছাড়িয়ে যায়। ৩৮ দিনে মৃত্যু হয় আরও এক হাজার মানুষের। ২০২১ সালের ২৩ জানুয়ারি মৃত্যুর সংখ্যা আট হাজার ছাড়িয়ে যায়। সময় লাগে ৪২ দিন।

পরের ৬৭ দিনে মৃত্যু হয় আরও এক হাজার মানুষের। অর্থাৎ, ৩১ মার্চ মৃত্যুর সংখ্যা নয় হাজার ছাড়ায়। ১৫ এপ্রিল মৃত্যুর সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়ায়। সময় লাগে মাত্র ১৫ দিন।

তার ১০ দিন পরই অর্থাৎ, ২৫ এপ্রিল মৃত্যুর সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়িয়ে যায়। ১১ মে মৃত্যুর সংখ্যা ১২ হাজার ছাড়ায়। সময় লাগে ১৬ দিন।

পরের ৩১ দিনে আরও এক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। অর্থাৎ, ১১ জুন মৃত্যুর সংখ্যা ১৩ হাজার ছাড়িয়ে যায়। ২৬ জুন মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়িয়ে যায় ১৪ হাজার। অর্থাৎ, মাত্র ১৫ দিনেই মৃত্যু হয় আরও এক হাজার মানুষের।

৪ জুলাই মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়িয়ে যায় ১৫ হাজার। সময় লাগে মাত্র আট দিন। ৫ দিন পর অর্থাৎ, ৯ জুলাই পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়িয়ে যায় ১৬ হাজার।

এসএসএইচ