যাত্রী বহন করায় মামলা দিচ্ছে পুলিশ

মুগদা থেকে গুলশান-১ নম্বরের উদ্দেশে এক ব্যাংক কর্মকর্তাকে নিয়ে যাচ্ছিলেন মোটরসাইকেল চালক মহসিন হাওলাদার। বাড্ডা চেকপোস্টের সামনে এলে পুলিশ তার গতিরোধ করে। বিধিনিষেধের নিয়ম ভঙ্গ করায় তাকে মামলা দেওয়া হয়।

বুধবার (৭ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর মেরুল বাড্ডার সড়কে এই চিত্র দেখা যায়।

চালক মহসিন হাওলাদার ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঘরে চাল নেই, বাচ্চার দুধ নেই। তাই আজ মোটরসাইকেল নিয়ে বের হয়েছি। পকেটে এক টাকাও নেই। কিন্তু ৫ হাজার টাকার মামলা দিয়েছে পুলিশ।

এর ঠিক ১০ মিনিট পর স্বামী-স্ত্রী একই বাইকে করে গুলশানের লঙ্কা বাংলা সিকিউরিটিজের দিকে যাচ্ছিলেন। পরিচয় দেওয়ার পর তাদের যাওয়ার অনুমতি দেয় পুলিশ।

এদিকে অনেক মোটরসাইকেল চালককে দেখা গেছে চেকপোস্টের আগেই যাত্রীদের নামিয়ে দিচ্ছেন। আর চেকপোস্ট পার হয়ে একটু দূরে গিয়ে ওই যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করছেন। যাত্রী চেকপোস্টের অংশটুকু হেঁটে পার হয়ে আবার মোটরসাইকেলে গন্তব্যের উদ্দেশে যাত্রা করছেন।

বাড্ডা এলাকায় পুলিশের চেকপোস্ট

মেরুল বাড্ডার চেকপোস্টে কর্মরত পুলিশ সদস্য হাবিবুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, একদিকে বৃষ্টি, অপরদিকে অফিসগামী মানুষের চাপ। সকালের দিকে মেরুল বাড্ডা থেকে রামপুরা পর্যন্ত সড়কে কিছুটা যানজট ছিল। বিধি-নিষেধ নিশ্চিতে আমরা প্রতিটি গাড়ি চেক করে ছাড়ছি।

নাম না প্রকাশের শর্তে চেকপোস্টের দায়িত্বে থাকা এক পুলিশ কর্মকর্তা ঢাকা পোস্টকে বলেন, সকালের দিকে অফিসগামী মানুষের চাপ বেশি ছিল, এখন কমছে। আবার অফিস ছুটি হলে বাড়বে।

তিনি বলেন, সরকার লকডাউন দিয়েছে যাতে করোনার প্রকোপ না বাড়ে। কিন্তু অনেক মানুষ আছেন যারা লকডাউন দেখতে আসেন। আমরা তাদের জরিমানা করছি, তাদের সচেতন করছি।

বাইকে দুই জন থাকলেই কি মামলা দিচ্ছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সবাইকে মামলা দিচ্ছি না। তবে বাইক করে যাতে দুই জন না চলাচল না করে সে বিষয়ে সতর্ক করছি।

এমআই/এমএইচএস