রাজধানীর ধানমন্ডি-১ নম্বরের একটি বাসায় বুয়া সাপ্লাই দিয়ে ফিরছিলেন মামুন ব্যাপারী। এ সময় ঝিগাতলায় পরিচালিত র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) ভ্রাম্যমাণ আদালত তার গতিরোধ করে। র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মামুনের কাছে ঘর থেকে বের হওয়ার কারণ জিজ্ঞেস করলে, তিনি বুয়া সাপ্লাইয়ের বিষয়টি জানান। কিন্তু বুয়া সাপ্লাই জরুরি প্রয়োজনের মধ্যে না পড়ায় মামুনকে ২০০ টাকা জরিমানা করে র‍্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

সোমবার (৭ জুলাই) সাড়ে ১২টায় রাজধানীর ঝিগাতলা মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। ঝিগাতলা মোড়ে সকাল থেকেই র‍্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাজহারুল ইসলামের নেতৃত্বে এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাজহারুল ইসলাম বলেন, সরকার ঘোষিত লকডাউন বাস্তবায়নে আমরা নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছি। আজ ঝিগাতলা মোড়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে এখন পর্যন্ত ১১ জনকে ২  হাজার ২০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, লকডাউনে বিনা প্রয়োজনে বের হওয়া নিষেধ থাকলেও কেউ বের হয়েছেন বুয়া সাপ্লাই দিতে আবার কেউ বের হয়েছেন বিড়ালের খাবার বিক্রি করতে। এগুলো জরুরি প্রয়োজনের কাজ না।

মাজহারুল ইসলাম বলেন, এখন কঠোর লকডাউন চলছে। এই সময়টায় অতি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়ার নির্দেশনা রয়েছে। এই সময়টায় বিড়ালের খাবার বিক্রি খুব জরুরি কোনো বিষয় নয়। এজন্য ওই দুজন ব্যক্তিকে ৪০০ টাকার জরিমানা করা হয়েছে। অন্যদিকে, এখন বুয়া সাপ্লাই করার সময়ও না। এজন্য মামুন ব্যাপারীকে জরিমানা করা হয় ২০০ টাকা।

তিনি বলেন, লকডাউনের কারণে সাময়িক সমস্যা হলেও এর দীর্ঘমেয়াদী ফল রয়েছে। ব্যক্তি পরিবার, সমাজ, দেশকে করোনা থেকে সুরক্ষার দিকটা বিবেচনায় আমরা কঠোরভাবে সরকারি বিধিনিষেধ পরিপালনে চেষ্টা করছি।

এমএসি/এমএইচএস