আগামী রোববার (৪ জুলাই) থেকে শুরু হবে কোরবানির পশুর ডিজিটাল হাট। এ হাটে সারাদেশের সাধারণ খামারিরাও পশু বিক্রি করতে পারবেন। তবে তাদের জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে নিবন্ধিত হয়ে এ হাটে অংশ নিতে হবে।

শুক্রবার (২ জুলাই) বিকেলের দিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেল-এর অতিরিক্ত সচিব (মহাপরিচালক) মো. হাফিজুর রহমান ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, আমরা সাধারণ খামারিদের এ হাটে অংশগ্রহণের একটা অপশন রেখেছি। যারা ই-ক্যাব ও বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের (বিডিএফএ) সদস্য নন তারা জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে নিবন্ধিত হয়ে হাটে অংশ নিতে পারবেন।

তিনি আরও বলেন, একজন তৃণমূল খামারি সরাসরি জেলা প্রশাসনে যোগাযোগ নাও করতে পারেন। সেক্ষেত্রে ওই খামারিকে তার নিজ উপজেলা প্রশাসন বা প্রাণিসম্পদ অফিসে যোগাযোগ করে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত হতে হবে। এ হাটে অংশ নেওয়া সব খামারিকেই নিবন্ধিত হতে হবে।

হাফিজুর রহমান বলেন, আমরা চাই অনলাইনে কোরবানির পশু কেনাকাটা যেন নিরাপদে হয়। এ লক্ষ্যেই আমাদের এমন পদক্ষেপ। ডিজিটাল পদ্ধতিতে পশু বিক্রি করতে হলে খামারিকে নিজ থেকে এগিয়ে আসতে হবে। স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তার নিশ্চয়তা থাকলে খামারি ও ক্রেতা উভয়ের জন্যেই ভালো হবে।

ই-ক্যাব সূত্র জানায়, গত ৩০ জুন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ডিজিটাল কোরবানির পশুর হাট ব্যবস্থাপনা বিষয়ে একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করে। ডব্লিওটিও সেল-এর মহাপরিচালক হাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত নির্দেশিকায় ডিজিটাল হাটে পশু ক্রয় বিক্রয় ও স্লটারিং সেবা সংক্রান্ত গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুসরণ করে এবারের ডিজিটাল কোরবানির হাট বাস্তবায়ন করছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশন। এতে কারিগরি সহযোগিতা দিচ্ছে সরকারের এটুআই প্রকল্পের অনলাইন প্লাটফর্ম ‘একশপ’।

একে/এইচকে/জেএস