মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সকাল থেকে সারাদেশে শুরু হয়েছে সর্বাত্মক লকডাউন। লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে আজ (শুক্রবার) রাজধানীর প্রধান সড়ক ছিল ফাঁকা। জুমার নামাজে মসজিদে মুসল্লির সংখ্যাও ছিল কম। জুমার নামাজ শেষে বৈশ্বিক মহামারি করোনা থেকে মুক্তি চেয়ে বিশেষ মুনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

শুক্রবার (২ জুলাই) পবিত্র জুমার দিনে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে সরেজমিনে দেখা যায়, অন্যান্য জুমা দিনের তুলনায় আজ মুসল্লির সংখ্যা ছিল কম। মসজিদে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। করোনা সুরক্ষার জন্য দূরত্ব বজায় রেখে মুসল্লিদের মসজিদের ভেতরে অবস্থান নিতে দেখা যায়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলায় কর্তৃপক্ষের নানা উদ্যোগ থাকায় মুসল্লিদের মধ্যে মাস্ক ব্যবহার, দূরত্ব রক্ষার বিষয়টি লক্ষণীয় ছিল। 

নামাজ শেষে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা আল্লাহর দরবারে মহামারির সংক্রমণ থেকে বাংলাদেশসহ বিশ্ববাসীর মুক্তির জন্য বিশেষ দোয়া করেন। এ সময় মুসল্লিরা সৃষ্টিকর্তার উদ্দেশে মোনাজাতে দুহাত তুলে কান্নায় ভেঙে পড়েন। দায়িত্বরত ইমাম সরকারি নির্দেশনা মানা ও করোনার বিধিনিষেধ মেনে চলতে মুসল্লিদের আহ্বান জানান। 

শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের বিভিন্ন মসজিদে বিশেষ মোনাজাতে করোনা মহামারি থেকে মুক্তি চেয়ে দোয়া করেন ইমাম, খতিবসহ ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। 

জাতীয় মসজিদ ছাড়াও ঢাকার কলাবাগান, পান্থপথ, আজিমপুর, মিরপুর, বাড্ডা, বনশ্রী, সেগুনবাগিচা এলাকার বিভিন্ন মসজিদের মুসল্লিরা জানান, জুমার নামাজের পর মোনাজাতে নানা প্রসঙ্গে সৃষ্টিকর্তার সাহায্য প্রার্থনা করা হয়।

মসজিদের ইমাম ও খতিবরা করোনার সংক্রমণ থেকে বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বের মানুষের সুরক্ষা, অসুস্থদের দ্রুত আরোগ্য লাভ, মহামারি পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি এবং দেশ ও জাতির সার্বিক কল্যাণ কামনা করে নামাজ শেষে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন।

জেইউ/এইচকে