‘কঠোর বিধিনিষেধে’ উপকূলীয় এলাকায় কোস্ট গার্ড মোতায়েন
করোনায় শনাক্ত ও মৃত্যু উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকায় দেশে আজ থেকে ‘কঠোর বিধিনিষেধ’ শুরু হয়েছে। কঠোর বিধিনিষেধ কার্যকর করতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন উপকূলীয় এলাকায় কোস্ট গার্ড মোতায়েন করা হয়েছে।
সরকারি নির্দেশনা পরিপালনে কোস্ট গার্ড উপকূলীয় সব এলাকায় বিভিন্ন প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা ও পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।
বিজ্ঞাপন
কঠোর বিধিনিষেধের প্রথম দিনে নৌ-পথে জনসাধারণের চলাচল ঠেকাতে, জরুরি সেবা ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে উপকূলীয় এলাকার বিভিন্ন নদ-নদী, লঞ্চ ঘাট, ফেরি ঘাট ও গুরুত্বপূর্ণ চ্যানেলে কোস্ট গার্ডের নিয়মিত টহল জোরদার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) দুপুরে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড সদর দফতরের মিডিয়া কর্মকর্তা লে. কমান্ডার আমিরুল হক এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, কোস্ট গার্ড ঢাকা জোনের আওতাধীন দায়িত্বপূর্ণ এলাকার অন্তর্গত গজারিয়া, চাঁদপুর, বক্তাবলী ফেরি ঘাট, হাইমচর ও মাওয়া দিয়ে নৌ-পথে সর্বসাধারণের যাতায়াত বন্ধে চেক পয়েন্ট স্থাপন করা হয়েছে। আর কোস্ট গার্ডের পূর্ব জোন চট্টগ্রাম এলাকার অন্তর্গত কর্ণফুলী নদীর মুখ, কুতুবদিয়া চ্যানেল, মহেশখালী চ্যানেল ও টেকনাফ স্থলবন্দরে চেক পয়েন্ট স্থাপন করেছে।
এছাড়া পশ্চিম জোন মংলার রূপসা, নলিয়ান, মোংলা নালা এবং দক্ষিণ জোন মজু চৌধুরীর হাট (লক্ষ্মীপুর), ইলিশা ঘাট, বরিশাল লঞ্চ ঘাট এলাকায় চেক পয়েন্ট স্থাপন করেছে।
স্থানীয় প্রশাসন ও অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে কোস্ট গার্ড একযোগে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান মিডিয়া কর্মকর্তা লে. কমান্ডার আমিরুল হক।
তিনি আরও বলেন, আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ, ডাকাতি দমন ও জননিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি করোনা মোকাবিলায় উপকূলীয় অঞ্চলের জনসাধারণের চলাচল নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং জরুরি সেবা ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে কোস্ট গার্ডের নিয়মিত টহল অব্যাহত থাকবে।
জেইউ/এমএইচএস/জেএস