রাত থেকে টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে চট্টগ্রাম নগরীর অধিকাংশ এলাকায়। সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধের প্রথমদিন সকালে অফিসগামী মানুষজনের হুড়োহুড়ি না থাকলেও জরুরি প্রয়োজনে যারা বের হচ্ছেন তাদের ভোগান্তি বেড়েছে। বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সকাল ছয়টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ২১৫ দশমিক ৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। 

সরেজমিনে নগরীরর বিভিন্ন রাস্তা ও অলিগলিতে ঘুরে দেখা যায়, রাতভর বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রামের নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছিল। তবে সকাল থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কমতে থাকায় মূল সড়ক থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। কিছু অলিগলিতে এখনও পানি রয়েছে।

চট্টগ্রামের পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ উজ্জ্বল কান্তি পাল ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় (সকাল ছয়টা পর্যন্ত) চট্টগ্রামে চট্টগ্রামে বৃষ্টিপাত হয়েছে ২১৫ দশমিক ৭ মিলিমিটার। আজকেও সারাদিন থেমে থেমে বৃষ্টিপাত হবে।

তিনি আরও বলেন, শুক্রবার (২ জুলাই) পর্যন্ত এই বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। তবে আজকে বৃহস্পতিবার তিনটা পর্যন্ত চট্টগ্রামে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা রয়েছে। 

এদিকে বুধবার (৩০ জুন) সন্ধ্যা রাত থেকেই ভারী বৃষ্টিপাতে মধ্যরাতেই চট্টগ্রামের দুই নম্বর গেট, মুরাদপুর, আগ্রাবাদ, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল এলাকায়, ডিসি রোড, চকবাজার, বাকলিয়া এলাকায় হাঁটু পরিমাণ পানি উঠেছে। তবে সকাল থেকে বৃষ্টিপাতের পরিমাপ কমে যাওয়ায় মূল সড়ক থেকে পানি নেমে গেছে। তবে বিভিন্ন অলি গলিতে পানি রয়েছে। 

আমিনুল ইসলাম নামে একজন বলেন, ভারী বৃষ্টিতে রাতে চট্টগ্রাম নগরীর দুই নম্বর গেট এলাকায় পানি ছিল, যার ফলে কাজ শেষ করে হাঁটু পরিমাণ পানি দিয়ে বাসায় ফিরতে হয়েছে। 

চট্টগ্রামের ডিসি রোডের বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টিতে বুধবার দিনগত রাতেই ডিসি রোডে পানি উঠে যায়। তবে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ায় পানি নামতে শুরু করেছে। 

এদিকে বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে ভেতরে প্রায় হাঁটু পানি জনে গেছে। এতে রোগী ও স্বজনদের বেশ ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। চিকিৎসক-নার্সরাও রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে।
  
কেএম/এসএম