মগবাজার বিস্ফোরণ : দুই জনের মরদেহ হস্তান্তর
রাজধানীর মগবাজারে বিস্ফোরণের ঘটনায় দুইজন নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে হস্তান্তর করা হয়েছে। তারা হলেন- হারুনুর রশিদ (৭০) ও ইমরান (২৫)। বুধবার (৩০ জুন) বিকেল ৩টায় তাদের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ।
নিহত হারুনুর রশিদের শ্যালক মনির শিকদার ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিস্ফোরণের দিন (২৭ জুন) থেকে আমরা দুলাইভাইয়ের সন্ধানে বিভিন্ন হাসপাতালে ঘুরতে থাকি। বিভিন্ন হাসপাতালে ও মর্গে তার ছবি নিয়ে ঘুরেছি। মঙ্গলবার (২৯ জুন) ধ্বংসস্তূপে নিচ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি ৫ বছর ধরে ওই ভবনের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে দুলাইভাইয়ের লাশ পুলিশ হস্তান্তর করেছে।
বিজ্ঞাপন
মগবাজার বিস্ফোরণে আহত ইমরান আজ (বুধবার) সকাল পৌনে ৭টায় মারা যান। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আইসিইউর ১৭ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। ময়নাতদন্ত শেষে পুলিশ তার মরদেহ হস্তান্তর করেছে বলে জানান ইমরানের বাবা আব্দুল মজিদ। তিনি বলেন, আমার ছেলে ৩ বছর হলো বিয়ে করেছে। সে শান্তিনগরে থাকত। ২ বছর ধরে বেঙ্গল মিটে চাকরি করত। ছেলেটা আমাকে ছেড়ে চলে গেল। আজ সকালে (বুধবার) আমার ছেলে না ফেরার দেশে চলে গেছে। আমার তো আর কিছু রইল না। কী নিয়ে বাঁচব?
সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা রমনা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শহীদুল ওসমান মাসুম ঢাকা পোস্টকে বলেন, মগবাজার বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত দুজনের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
গত ২৭ জুন সন্ধ্যা ৭টার দিকে রমনা মডেল থানা এলাকার বড় মগবাজারের রেখা নীড় ভবনের কোনো অংশে বিস্ফোরণের বিকট শব্দে ভবনের সামনের ও পেছনের অংশ ধসে পড়ে এবং মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মগবাজারে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া বেশ কয়েকজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বিস্ফোরণের ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে ৭ সদস্যের কমিটি করেছে পুলিশ সদর দফতর। কমিটির প্রধান করা হয়েছে পুলিশের জঙ্গি ও সন্ত্রাসবিরোধী ইউনিট কাউন্টার টেররিজম ও ট্রান্সন্যাশনাল ইউনিটের প্রধান আসাদুজ্জামানকে। এছাড়া ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিল্লুর রহমানকে প্রধান করে ৫ সদস্যের আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এসএএ/এইচকে