চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে বাসে এক তরুণীকে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণের ঘটনায় ৫ জন দোষ স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

শনিবার (২৬ জুন) বিকেলে চট্টগ্রামের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহরিয়ার ইকবালের আদালতে তারা জবানবন্দি দেন। ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মিরসরাই থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন। 

তিনি বলেন, তরুণীকে ধর্ষণের মামলায় গ্রেফতার ৫ জন দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। নাজিম উদ্দীন রানা নামের একজন আদালতে জবানবন্দি দেননি। তাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। সাত দিনের রিমান্ডে আনার আবেদন করা হয়েছে। পরে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, আশরাফুল ইসলাম, মো. শাহাদাত হোসেন, বেলাল হোসেন, মো. ইসমাইল ও মো. সাগর আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। 

পুলিশ জানিয়েছে, চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে চলন্ত বাসে ও আরেক জায়গায় এক তরুণীকে দুই দফা ধর্ষণ করা হয়েছে। এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) রাতে মামলা করেন ধর্ষণের শিকার তরুণী। মামলার পর চট্টগ্রামের মিরসরাই ও সীতাকুণ্ডে অভিযান চালিয়ে শুক্রবার ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, ধর্ষণের শিকার তরুণী একজন পোশাকশ্রমিক। বুধবার (২৩ জুন) সন্ধ্যায় কারখানা থেকে কাজ শেষে বের হলে তার পরিচিত মিনিবাসচালক আশরাফুল ইসলাম তাকে বাসায় পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে বাসে তুলে নেন। এরপর গাড়ি আকবর শাহ এলাকার দিকে না গিয়ে সীতাকুণ্ডের পথে চলতে থাকে। তরুণী প্রতিবাদ করলে বাসচালকের সঙ্গে থাকা ব্যক্তিরা হুমকি দেন। একপর্যায়ে চলন্ত গাড়িতে গণধর্ষণ করেন। পরে রাত ৯টার দিকে তাকে নামিয়ে দেওয়া হয় সীতাকুণ্ডে। সেখানে নামার পর তিনি চাকরিসূত্রে পরিচিত রানাকে ফোন করে সাহায্য চান। রাতে রানা ওই তরুণীকে আরেকটি মিনিবাসে তুলে মিরসরাইয়ে বেড়িবাঁধে নিয়ে যান। সেখানে তিনিসহ কয়েকজন রাতভর ধর্ষণ করেন। পরে বৃহস্পতিবার থানায় গিয়ে ওই তরুণী মামলা করেন।

কেএম/এইচকে