রাজধানীর দিলকুশা এলাকায় বাংলাদেশ জুট মিলস করপোরেশনের (বিজেএমসি) জায়গায় গড়ে ওঠা সানমুন টাওয়ারের আর্থিক দেনা-পাওনার বিষয়টি তদন্ত করার পরামর্শ দিয়েছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে বিজেএমসি ও এমআর ট্রেডিং কোম্পানির মালিকের উপস্থিতিতে সানমুন টাওয়ারের ভাড়ার দেনা পাওনা সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠকে বিজেএমসি এবং এমআর ট্রেডিং কোম্পানির মধ্যকার আর্থিক দেনা পাওনার বিষয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিবকে তদন্ত সাপেক্ষে একটি প্রতিবেদন পরবর্তী সভায় উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়।

বৈঠক শেষে কমিটির সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন বলেন, কমিটির বৈঠকে ওই ভবন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের সচিবকে এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। সেটা পেলে বিস্তারিত আলোচনা করে আমরা সুপারিশ দেব।

সানমুন টাওয়ার নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র বিএনপি নেতা মরহুম সাদেক হোসেন খোকা ও এম আর ট্রেডিংয়ের মালিক মো. মিজানুর রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০১২ সালে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ওই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের ৮২৭ কোটি টাকা ক্ষতি করার অভিযোগ আনা হয়।

ভবনের জমিটি ছিল জুট মিল করপোরেশনের (বিজেএমসি)। তৎকালীন সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, জমিটি বিজেএমসি সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করে। ভবনটি নির্মাণে ঢাকা সিটি করপোরেশন ও রাজউকের অনুমোদন নেওয়া হয়নি। বঙ্গভবনের খুবই কাছে হওয়ায় সুউচ্চ ভবন নির্মাণে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্র নেওয়ার কথা থাকলে সেটাও নেওয়া হয়নি। ভবনটির নির্মাণ নিয়ে নানা ধরনের দুর্নীতি হয়েছে এমন তথ্য স্থানীয় সরকার বিভাগের এক তদন্তেও উঠে আসে।

এদিকে বৈঠকে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির প্রত্যেক সদস্যদের নিজ নিজ এলাকায় নিজ উদ্যোগে এক একর করে জমিদান করে একটি করে ভোকেশনাল টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট স্থাপনের প্রকল্প গ্রহণের জন্য সুপারিশ করে কমিটি।

কমিটির সভাপতি মির্জা আজমের সভাপতিত্বে বৈঠকে অংশ নেন কমিটির সদস্য বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী, শাহীন আক্তার, আব্দুল মমিন মণ্ডল, খাদিজাতুল আনোয়ার এবং তামান্না নুসরাত (বুবলী)।

এইউএ/এসকেডি