কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে বাড়ছে করোনা রোগীর চাপ
রাজধানীর উত্তরায় কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত রোগীর চাপ আবারও বাড়তে শুরু করেছে। করোনা ডেডিকেটেড এই হাসপাতালে ২২ দিনের ব্যবধানে রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণের বেশি হয়েছে।
বুধবার (২৩ জুন) সকালে হাসপাতালটির জরুরি বিভাগ থেকে ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞাপন
হাসপাতালের আইসিইউ ইউনিটের দায়িত্বে থাকা অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ও ক্রিটিক্যাল কেয়ারের বিভাগীয় প্রধান ডা. মো. আসাদুজ্জামান ঢাকা পোস্টকে বলেন, এক সপ্তাহের ব্যবধানে আইসিইউ বেডের ওপর চাপ বেড়েছে। চালু থাকা ১০টি আইসিইউ বেডেই এখন রোগী ভর্তি রয়েছে। পরিস্থিতি অনেকটা আগের মতো ভয়াবহ হওয়ার পথে। এখনই আমাদের সবাইকে সাবধান হতে হবে।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগ সূত্র জানায়, চলতি মাসের ১ তারিখে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ছিল ২৮ জন। আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত এ সংখ্যা ৬৬ জনে দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি ১০ জন আছেন আইসিইউ বেডে। সবমিলিয়ে হাসপাতালে এই মুহূর্তে রোগীর সংখ্যা ৭৬। গত ২২ দিনে হাসপাতালটিতে করোনা রোগী মারা গেছেন ১৫ জন।
এদিকে মাঝে হাসপাতালে রোগীর চাপ কম থাকায় আইসিইউ বেডের অবকাঠামোগত কাজ শুরু করা হয়। যে কারণে ২৬টি আইসিইউ বেডের মধ্যে বর্তমানে ১০টি চালু রয়েছে।
এ বিষয়ে ডা. মো. আসাদুজ্জামান জানান, জুন মাসের শুরুতে আইসিইউ বেডের ওপর চাপ কম থাকার কারণে ভৌত অবকাঠামোর কাজ শুরু করি। প্রথমে ১০ বেড বন্ধ করে একটি আইসিইউ বেড ঠিক করি। তখনও খুব বেশি চাপ ছিল না। গত সপ্তাহ থেকে আরেকটি আইসিইউ বেডের কাজ শুরু করি। এ মুহূর্তে ১৬টি বেডে রোগী ভর্তি করা যাচ্ছে না। আশা করছি আগামী শুক্রবার থেকে ২৬টি বেডই চালু করা সম্ভব হবে।
আইসিইউ বেডে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে উল্লেখ করে এ চিকিৎসক জানান, গত চার পাঁচ দিন ধরে আইসিইউ’র ওপর চাপ বাড়ছে। এ অবস্থা মোটামুটি সব জায়গায় একই রকম।
রোগীদের চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চলার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেখা যাচ্ছে রোগীরা চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে বাসায় বেশি সময় কাটিয়ে দিচ্ছেন। এরপর যখন দেখা যাচ্ছে একেবারে সময় শেষ, তখন হাসপাতালের দিকে ছুটছেন। রোগীর যখন তীব্র শ্বাসকষ্ট দেখা দিচ্ছে তখন হাসপাতালের দিকে আসছেন তারা।
তিনি আরও বলেন, আমরা শুরু থেকেই বলছি, আতঙ্কিত না হয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। হাসপাতালে থাকলে কোন সময়ে কী চিকিৎসা নিতে হবে তা সঠিকভাবে দেওয়া সম্ভব হয়। করোনার প্রথম দিকে আমরা বলছি যে এটি বয়স্কদের বেশি প্রভাব ফেলছে। এখন কিন্তু দেখছি তুলনামূলক কম বয়সীরাও আক্রান্ত হচ্ছে।
একে/জেডএস/জেএস