ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি বাম জোটের
সারাদেশে ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান নিষিদ্ধে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘোষণায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। একইসঙ্গে অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিও জানিয়েছে সংগঠনটি। তারা বলছে, ব্যাটারি রিকশা-ভ্যান নিষিদ্ধের ঘোষণা ৫০ লাখ পরিবারকে বুভুক্ষাবস্থায় ঠেলে দেবে।
মঙ্গলবার (২২ জুন) সংবাদ মাধ্যমে বাসদ নেতা রাজেকুজ্জামান রতনের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়। এর আগে মঙ্গলবার রাজধানীর তোপখানা রোডে বাম গণতান্ত্রিক জোট কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভা থেকে এ দাবি উত্থাপন করা হয়।
বিজ্ঞাপন
সভায় উপস্থিত ছিলেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বজলুর রশীদ ফিরোজ, বাম জোটের কেন্দ্রীয় নেতা সিপিবি’র সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহ আলম, সহকারী সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ জহির চন্দন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ব্যুরো সদস্য আকবর খান, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি প্রমুখ।
সভায় বলা হয়, করোনার এই মহামারিকালে অসংখ্য মানুষ কাজ হারিয়ে বেকার হচ্ছেন। আড়াই কোটি মানুষ নতুন করে দরিদ্র হয়েছে, ৬২ শতাংশ মানুষ আয়-রোজগার হারিয়েছে এবং ৫২ শতাংশ মানুষ খাদ্যগ্রহণ কমিয়ে দিয়েছে। স্বকর্মসংস্থান করে রিকশা, ব্যাটারি-রিকশা, ভ্যান, ইজিবাইক চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছে, তখন তুঘলকি কায়দায় ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান নিষিদ্ধ করার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর ঘোষণায় ৫০ লাখ পরিবারকে জীবিকা হারিয়ে বুভুক্ষাবস্থায় ঠেলে দেবে। যা সমাজে চরম অস্থিরতা তৈরি করবে।
আরও বলা হয়, রিকশা, ব্যাটারি, মোটর আমদানি করে ব্যবসায়ীরা, বিক্রি করে দোকানদার ব্যবসায়ীরা, সেগুলো আমদানি ও বিক্রি বন্ধ না করে রিকশা নিষিদ্ধ অমানবিক। দরিদ্র কর্মহীন মানুষ এনজিওসহ বিভিন্নভাবে ঋণ নিয়ে ৬০/৭০ হাজার টাকা খরচ করে রিকশা কিনে চালিয়ে যখন জীবিকা চালাচ্ছে, তখন সরকারের এই সিদ্ধান্ত কোনোক্রমেই শ্রমজীবী রিকশা চালক-মালিকরা মেনে নেবে না। বাম জোট ব্যাটারি রিকশা-ভ্যান-ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদের আন্দোলনের প্রতি সর্বাত্মক সমর্থন করবে। সংকটকালে পুনর্বাসন ও বিকল্প কাজের ব্যবস্থা না করে ব্যাটারি চালিত রিকশা-ভ্যান নিষিদ্ধ করার অগণতান্ত্রিক, অমানবিক ও গণবিরোধী সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে।
এমএইচএন/এইচকে