লঞ্চ চলাচল বন্ধে বিপাকে যাত্রী, বেকার কুলি
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত লকডাউন সাত জেলায় শুরু হয়েছে মঙ্গলবার (২২ জুন) সকাল থেকে। এ অবস্থায় ঢাকা থেকে দেশের সব নৌ-রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রেখেছে বিআইডব্লিউটিএ। হঠাৎ লঞ্চ চলাচল বন্ধ হওয়ায় বিপাকে পড়েছে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন রুটের যাত্রীরা। অন্যদিকে, ঘাটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় কাজ পাচ্ছেন না কুলিরাও।
রাজধানীর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে, দক্ষিণাঞ্চলসহ সারাদেশে লঞ্চ চলাচল পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। এ অবস্থায় ঘাটে অনেক যাত্রীকে বসে থাকতে দেখা গেছে। কেউ আবার বাসায় চলে যাচ্ছেন। ঘাটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় কাজ পাচ্ছেন না কুলিরা। অলস সময় পার করছেন তারা।
বিজ্ঞাপন
চাঁদপুর যাওয়ার জন্যে ঘাটে আসা মো. ইউসুফ বলেন, বাড়ি যাওয়ার জন্যে টার্মিনালে এসেছি। সব রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হবে এমন কোনো নির্দেশনা আমরা পাইনি। কিন্তু ঘাটে এসে দেখলাম সব রুটের লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। হঠাৎ এমন সিদ্ধান্তের কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।
বরিশাল যাওয়ার জন্য লঞ্চঘাটে আসা আব্দুল কুদ্দুস বলেন, লকডাউন ঘোষণায় বরিশাল জেলার নাম উল্লেখ নেই। আমি বৃষ্টির মধ্যে অনেক দূর থেকে এসেছি। কিন্তু লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় এখন ফিরে যেতে হচ্ছে। আমাদের কষ্ট দেখার কেউ নেই।
সদরঘাটের কুলি দেলোয়ার বলেন, লঞ্চ চলছে না, আমাদের কাজ নেই। লঞ্চ চললে কাজ থাকত, পরিবার নিয়ে দুই বেলা খেতে পারতাম। এ রকম চলতে থাকলে থাকলে না খেয়ে মরতে হবে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) উপপরিচালক মো. এহতেশামুল হক পারভেজ বলেন, হঠাৎ কেন লঞ্চ চলাচল বন্ধ করা হলো তা আমি বলতে পারব না। এ বিষয়ে আমাদের ট্রাফিক বিভাগ ভালো বলতে পারবে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের ( বিআইডব্লিউটিএ) নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের যুগ্ম পরিচালক জয়নাল আবেদীন ঢাকা পোস্টকে বলেন, লকডাউনের আওতাভুক্ত ৭ জেলায় লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে রাতে দক্ষিণাঞ্চলসহ সারাদেশে নৌ চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত দেশের সব রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকবে।
এমটি/এসকেডি