৮০ শতাংশ ধূমপায়ী নিম্ন ও মধ্যম স্তরের সিগারেট খান
দেশে সিগারেট ব্যবহারকারীদের ৮০ শতাংশই নিম্ন ও মধ্যম স্তরের সিগারেট ব্যবহার করেন। জনগণের আয় ৯ শতাংশ বাড়লেও বাজেটে এই দুই স্তরের দাম বাড়ানো হয়নি। অন্যদিকে উচ্চ ও প্রিমিয়াম স্তরের সিগারেটের দাম বাড়ানো হলেও তা মূল্যস্ফীতি ও আয়বৃদ্ধির তুলনায় কম হারে বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে ক্ষতিকর তামাকপণ্যের প্রকৃত মূল্য কমে গেছে, যা জনস্বাস্থ্যকে হুমকিতে ফেলবে।
রোববার (২০ জুন) জাতীয় সংসদ ভবনে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরীর কার্যালয়ে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ ও তামাকমুক্ত বাংলাদেশ মঞ্চ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন সাবের হোসেন চৌধুরী।
বিজ্ঞাপন
সভায় সাবের হোসেন বলেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক অর্থ মন্ত্রণালয়ে তামাক কর বৃদ্ধির দাবিতে চিঠি লিখলেও তার পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়নি। সংসদীয় কমিটির সভাপতিদের পক্ষ থেকেও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখে এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
সভায় তামাকের সহজলভ্যতা কমাতে নিম্ন ও মধ্যম স্তরের সিগারেটসহ অন্যান্য তামাকপণ্যের কর বাড়ানোর তাগিদ দেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতিরা। কর ও দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট শুল্ক আরোপ এবং মূল্যস্ফীতি ও মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির হিসাব বিবেচনায় নেওয়ার পক্ষে মত দেন তারা।
জনস্বাস্থ্য রক্ষায় জোর দিয়ে মকবুল হোসেন বলেন, তামাকের সহজলভ্যতা কমানো গেলে এর ব্যবহার হ্রাস পাবে। এজন্য এসব ক্ষতিকর পণ্যের দাম বাড়াতে হবে। পাশাপাশি যত্রতত্র তামাকপণ্য বিক্রি বন্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। তাছাড়া তামাক চাষীদের বিকল্প ফসল চাষে প্রণোদনা দিতে হবে বলেও মত দেওয়া হয়।
তামাকপণ্যের দাম বাড়ানোর বিষয়ে শামসুল হক টুকু বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি অনুসারে ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ নিশ্চিত করতে এখন থেকেই তামাককে মানুষের নাগালের বাইরে নিতে হবে।
তামাকের সহজলভ্যতা কমানোর বিষয়ে শহীদুজ্জামান সরকার বলেন, শক্তিশালী আইন ও নীতি প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নের মাধ্যমে তামাক নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
এমএইচএন/টিআই/এনএফ