কদমতলীতে ৩ মৃত্যু : বাবা মিডফোর্ডে মেয়ে ঢামেকে
রাজধানীর কদমতলীর মুরাদপুর এলাকা থেকে একই পরিবারের তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (১৯ জুন) সকালে খবর পেয়ে পুলিশ তাদের মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মেহজাবিন আক্তার মুন নামক এক নারীকে আটক করা হয়েছে।
নিহতরা হলেন, মাসুদ রানা (৫০) তার স্ত্রী মৌসুমী ইসলাম (৪০) ও মেয়ে জান্নাতুল (২০)। মরদেহ উদ্ধারের পাশাপাশি ঘটনাস্থল থেকে শফিকুল ইসলাম (৪০) ও মেয়ে মারজান তাবাচ্ছুম তৃপ্তিকে (৪) অচেতন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ।
বিজ্ঞাপন
পরে শফিকুল ইসলামকে মিডফোর্ডে পাঠানো হয় এবং মেয়ে তৃপ্তি ঢামেকের শিশু ওয়ার্ড ২১০ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।
শফিকুল ইসলাম হলেন নিহত মাসুদ রানা ও মৌসুমী ইসলামের মেয়ে মেহজাবিন আক্তার মুনের স্বামী। আর নিহত জান্নাতুল হলেন মুনের বোন।
কদমতলী থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আলম জানান, আমরা অচেতন অবস্থায় শফিকুল ইসলামকে নিয়ে আসি। তাকে স্টমাক ওয়াশ (পাকস্থলী পরিষ্কার) করে মিডফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে কদমতলী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই)কবীর হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, শিশু তৃপ্তিকে স্টমাক ওয়াশ (পাকস্থলী পরিষ্কার) করে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশি পাহারায় তার চিকিৎসা চলছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢামেক হাসপাতালে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, কদমতলীর ঘটনায় দুজনকে অচেতন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়েছিল। তাদের মধ্যে শিশু তৃপ্তিকে এখানে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে এবং তার বাবা শফিকুল ইসলামকে মিডফোর্ডে পাঠানো হয়েছে।
এসএএ/আরএইচ