ছয় দফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছেন চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং (সিঅ্যান্ডএফ) এজেন্টরা। 

বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) সকাল থেকে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা এ কর্মবিরতি শুরু করেন।

চট্টগ্রাম কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু ঢাকা পোস্টকে বলেন, গতকাল বুধবার সিএন্ডএফ এজেন্ট মেসার্স প্রাইম ক্লিয়ারিং হাউস থেকে বড় অংকের ঘুষ দাবি করেন এক কাস্টমস কর্মকর্তা। এ নিয়ে কাস্টমস কর্মকর্তার সাথে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের কথা কাটাকাটি হয়। এর প্রেক্ষিতে কাস্টমস কর্মকর্তা ওই এজেন্টের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা অভিযোগ করেন। মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে তার লাইসেন্সটি স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। অন্যায়ভাবে যে লাইসেন্স স্থগিত করেছে সেই  স্থগিতাদেশ অবিলম্বে প্রত্যাহার করাসহ ছয় দফা দাবি দিয়েছি। ছয় দফা দাবি না মানা হলে আমরা কাজে যোগ দেব না। 

ঘুষ, দুর্নীতিসহ স্পিড মানির নামে আদায়কৃত সকল প্রকার অবৈধ লেনদেন বন্ধ করার দাবি জানান সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা। তাদের বাকি দাবিগুলো হলো-  মূল বা রেফারেন্স লাইসেন্স বাতিল বা স্থগিত হলে সংশ্লিষ্ট পারমিট বাতিল বা স্থগিতের নিয়ম বাতিল করতে হবে, দেশের সকল কাস্টম হাউস বা শুল্ক স্টেশনে অভিন্ন শুল্কায়নযোগ্য মূল্য নির্ধারণ করে শুল্কায়নে ইতোপূর্বে বার বার গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে হবে, চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারকারী আমদানিকারকদের অসম প্রতিযোগিতা থেকে রক্ষা করতে হবে।

এছাড়া তাদের অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে- জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের সাথে আলোচনার ভিত্তিতে গৃহীত সকল সিদ্ধান্ত অবিলম্বে বাস্তবায়ন করতে হবে, সকল পর্যায়ের শুল্ক কর্মকর্তা কর্তৃক শুল্ক আইন, বৈধ এসআরও ও আলোচনার মাধ্যমে গৃহীত ইতিবাচক সিদ্ধান্তগুলো অমান্য করার প্রবণতা বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। 

কেএম/এনএফ