করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় চলমান বিধিনিষেধের মেয়াদ আরেক দফা বাড়িয়েছে সরকার।

বুধবার (১৬ জুন) চলমান বিধিনিষেধের মেয়াদ ১৫ জুলাই পর্যন্ত বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। বিধিনিষেধকালে শর্তসাপেক্ষে গণপরিবহন চলতে পারবে।

এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সব ধরনের গণপরিবহন যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন সাপেক্ষে ধারণক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচলের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করবে। 

তবে এ সম্পর্কিত আগের নির্দেশনা ধরেই সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো আলাদা নির্দেশনা জারি করবে বলে জানা গেছে। করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে গত ৫ এপ্রিল থেকে দেড় মাসেরও বেশি সময় দূরপাল্লার গণপরিবহন চলাচল বন্ধ ছিল,যা গত ২৪ মে থেকে শর্তসাপেক্ষে তা চালুর অনুমতি দেয় সরকার।

সরকারের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে বিধিনিষেধের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে সড়ক পরিবহন চালানোর জন্য নির্দেশনা দিয়েছিল বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। সংস্থাটির নির্দেশনা অনুসারে, মাস্ক ছাড়া কোনো যাত্রী গাড়িতে উঠতে পারবেন না। গাড়ির চালক, সুপারভাইজার, কন্ডাক্টর, হেলপার এবং টিকিট বিক্রয় কেন্দ্রের দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিরা মাস্ক পরিধান করবেন। তাদের হাত ধোয়ার জন্য পর্যাপ্ত সাবান-পানি, হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে।

অর্ধেক যাত্রী বহন করার পরিপ্রেক্ষিতে বিআরটিএর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ৬০ শতাংশ ভাড়া আদায় করা যাবে। যাত্রার শুরু ও শেষে গাড়ি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নসহ জীবাণুনাশক দিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয়াদি মেনে চলতে হবে। বিধিনিধেষকালে বাংলাদেশ রেলওয়ের নির্দেশনা অনুসারে, ট্রেনের মোট আসনের অর্ধেক সংখ্যক যাত্রী নিয়ে ট্রেন পরিচালনা করা হবে।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ায় এ বছরের ৫ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত প্রথমবার বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। সেটি দুদিন বাড়িয়ে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়। এই বিধিনিষেধ খুব একটা কাজে না আসায় ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হয় দুই সপ্তাহের ‘কঠোর’ বিধিনিষেধ।

এরপর থেকে বিভিন্ন শর্ত আরোপ ও শিথিল করে কখনো সাত দিন কখনো ১০ দিন করে এ বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়াতে থাকে সরকার। সবশেষ বিধিনিষেধ ছিল ৬ জুন থেকে আজ ১৬ জুন পর্যন্ত। আজ বিধিনিষেধ বাড়ানো হলো ১৫ জুলাই পর্যন্ত।

এসআর/আরএইচ