গামছা পার্টি, সালাম পার্টি ও টানা পার্টির অপরাধ দমনে নগরবাসীর মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি ও কর্মকর্তাদের মোবাইল টিম ও চেকপোস্ট ডিউটি বৃদ্ধির নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।

মঙ্গলবার (১৫ জুন) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত রাজধানীর রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।

ফেব্রুয়ারি, মার্চ, এপ্রিল ও মে মাসে অস্ত্র, মাদক, গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিলসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে অপরাধ পর্যালোচনা সভায় শ্রেষ্ঠদের পুরস্কৃত করেন ডিএমপি কমিশনার।

সভায় উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের মূল দায়িত্ব অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা। অপরাধের শিকার কারা হচ্ছে, কখন হচ্ছে এবং কী কারণে হচ্ছে তার সঠিক কারণ নির্ণয় করা। দায়িত্বপ্রাপ্ত সবাই নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করুন। ঢাকা শহরের অপরাধ প্রতিরোধে সবাইকে আরও নিরলসভাবে কাজ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, গামছা পার্টি, সালাম পার্টি ও টানা পার্টির অপরাধ নিরসনে আমাদের আরও সচেতন থাকতে হবে।  নগরবাসীকে সচেতন করার পাশাপাশি থানার মোবাইল টিম ও চেকপোস্ট ডিউটি বৃদ্ধি করতে হবে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ক্রাইম বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনারদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন মিরপুর বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. শাহ আলম।

ডিএমপির সব থানার মধ্যে শ্রেষ্ঠ থানা নির্বাচিত হয়েছে মোহাম্মদপুর থানা। পুলিশ পরিদর্শক তদন্তদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন কদমতলী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সজীব দে। পুলিশ পরিদর্শক অপারেশনদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন ভাষানটেক থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মো. খোরশেদ আলম। শ্রেষ্ঠ এসআই যৌথভাবে নির্বাচিত হয়েছেন পল্লবী থানার এসআই মো. শরীফুল হাসান । শ্রেষ্ঠ এএসআই যৌথভাবে নির্বাচিত হয়েছেন মিরপুর মডেল থানার এএসআই মোবারক হোসেন। 

৯টি গোয়েন্দা বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে গোয়েন্দা গুলশান বিভাগ। শ্রেষ্ঠ টিম লিডার মাহবুবুল হক সজিব, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার, গুলশান জোনাল টিম, ডিবি-গুলশান। চোরাই গাড়ি উদ্ধারে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার হয়েছেন ডিবি লালবাগের সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিমের সহকারী পুলিশ কমিশনার মধুসূদন দাস। মাদকদ্রব্য উদ্ধারে শ্রেষ্ঠ টিম লিডারের পুরস্কার পেয়েছেন ডিবি গুলশান জোনাল টিম অতি. উপ-পুলিশ কমিশনার মাহবুবুল হক সজিব।

৮টি ট্রাফিক বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে ট্রাফিক লালবাগ বিভাগ। শ্রেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার বিমান কুমার দাস, কোতয়ালি ট্রাফিক জোন। শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মশিউর রহমান, রামপুরা ট্রাফিক জোন।

শ্রেষ্ঠ সার্জেন্ট যৌথভাবে সার্জেন্ট আর এ রোকন, উত্তরা-এয়ারপোর্ট ট্রাফিক জোন, ট্রাফিক উত্তরা বিভাগ ও সার্জেন্ট সামসুদ্দীন সরকার, দারুসসালাম ট্রাফিক জোন, ট্রাফিক মিরপুর বিভাগ।

এছাড়াও গত ফেব্রুয়ারি, মার্চ ও এপ্রিল মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ডিএমপির ৮টি ক্রাইম বিভাগের মধ্যে ফেব্রুয়ারি ও এপ্রিল মাসে প্রথম হয়েছে মিরপুর বিভাগ এবং মার্চ মাসে প্রথম হয়েছে ওয়ারী বিভাগ।

সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) মীর রেজাউল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) কৃষ্ণ পদ রায়, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) ড. এ এফ এম মাসুম রব্বানী, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) এ কে এম হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ কশিনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম) মো. আসাদুজ্জামান প্রমুখ।

জেইউ/এসকেডি