পুলিশ ম্যাজিকের মতো সহযোগিতা করেছে
চিত্রনায়িকা পরীমণি বলেছেন, আমাকে ডিবি পুলিশ ডাকেনি, আমি নিজে থেকেই এখানে এসেছি। আমাকে কাজে ফিরতে হবে। পুলিশ বন্ধুসুলভ আচরণ করেছে। হারুন স্যার অনেকটা ম্যাজিকের মতো সবকিছু করেছেন। এতটা তাড়াতাড়ি ম্যাজিকের মতো পুলিশ আমাকে সহযোগিতা করবে সেটা আমি ভাবতে পারিনি। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দেখলাম অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে। আমার বিশ্বাস সঠিক বিচার পাব।
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার (১৫ জুন) ডিবি কার্যালয় থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রথম দিনের বক্তব্য প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পরীমণি বলেন, প্রথমে অভিযোগটা আপনারা আমার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজের মাধ্যমে জেনেছিলেন। এরপর আমি অনেক কথাই বলেছি। এ বিষয়ে ফেসবুক পেজেও ব্যাখ্যা করেছি।
মদ খেতে যাওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি মদ খেতে বা ছিনতাই করতে গিয়েছিলাম, এমন অভিযোগ কি বিশ্বাসযোগ্য? আপনারা কি তাই মনে করেন? আমি কতোটা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়েছিলাম সেটা কেবল আমিই জানি। সবাই আমাকে সাপোর্ট করেছে। সবার ভালোবাসা দেখে আমি অভিভূত। আমি এখন উঠে দাঁড়াতে পারছি।
আইজিপির সঙ্গে যোগাযোগ ও অসহযোগিতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি আইজিপির কাছে বক্তব্য পৌঁছাতে পারিনি বলেই এত কথা। তিনি আমার একমাত্র ভরসাস্থল ছিলেন। তার কান পর্যন্ত আমার বার্তা পৌঁছার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছেন।
শিল্পী সমিতি সম্পর্কে নিজের হতাশা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, আমি বলেছিলাম যে শিল্পী সমিতির হয়ে আমি আইজিপি বেনজীর স্যারের সঙ্গে একটু বসতে চাই, কথা বলতে চাই। তুমি (জায়েদ) একটু সহযোগিতা করো। তার জবাবে জায়েদ বলেছিলেন, ‘সরাসরি তুমি আসলে বেনজীর স্যারের সঙ্গে কথা বলার ব্যবস্থা করে দিতে পারব।’
সেই রাতে আপনি মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে পরীমণি বলেন, আমাকে মুখ চেপে জোর করে মদ খাওয়ানো হয়েছিল। জানি না ওই অবস্থায় আমাকে মদের সঙ্গে আর কী কী খাওয়ানো হয়েছিল। ওই সময় কিছুই আমি বুঝতে পারছিলাম না। আমি মরে যাচ্ছিলাম। আমি যে মরে যাচ্ছিলাম সেই অবস্থা জানাতেই থানা পুলিশের কাছে গিয়েছিলাম। পুরোটাই থানা পুলিশকে জানিয়েছি এবং তাদের বলেছি যে আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। আমাকে মদ খাওয়ানো হয়েছিল, আমি ঠিক নেই, আমি সুস্থ নেই, আমি এখনো সুস্থ না। আমার সমস্যা হচ্ছে। আমি কখনোই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে কথা বলিনি। তারা আমাকে যথেষ্ট সহযোগিতা করেছে।
উল্লেখ্য, গত ৯ জুন (বুধবার) রাতে ঢাকা বোট ক্লাবে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ করেন পরীমণি। রোববার (১৩ জুন) রাতে প্রথমে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে বিষয়টি তুলে ধরেন এই অভিনেত্রী। পরে তার নিজ বাসায় সাংবাদিকদের সামনে ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন। এ ঘটনায় মামলাও দায়ের করেছেন তিনি। এ মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে আবাসন ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদকে। নাসির ও পরীমণির বন্ধু অমিসহ ৫ জনকে ইতোমধ্যে মাদক মামলায় গ্রেফতারও করা হয়েছে। এ মামলায় আজ নাসির উদ্দিনসহ দুই জনের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বাকি তিন জনের ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
জেইউ/এসকেডি/জেএস