প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পেয়েছে জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা। আজ (মঙ্গলবার) ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর এই অনুমোদন দিয়েছে।

অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

জনসনের টিকা ৭৮ শতাংশ পর্যন্ত সুরক্ষা দিতে পারে। জনসন অ্যান্ড জনসন টিকার সুবিধা হলো এটা সিঙ্গেল ডোজ। অর্থাৎ এই টিকার একটি ডোজই যথেষ্ট। দেশে অনুমোদিত করোনার বাকি টিকাগুলো দুই ডোজের। 

স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বেলজিয়ামের জ্যানসন কিলগ ইন্টারন্যাশনাল উৎপাদিত করোনা টিকা জরুরি ব্যবহারে অনুমোদন প্রদানের জন্য লাইন ডিরেক্টর, এমএনসি অ্যান্ড এএইচ, স্বাস্থ্য অধিদফতর, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ঢাকা কর্তৃক ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরে আবেদন করা হয়। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর ভ্যাকসিনটির ডোসিয়ার (ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পার্ট, সিএমসি পার্ট এবং রেগুলেটরি স্ট্যাটাস) মূল্যায়নপূর্বক কোভিড-১৯ চিকিৎসার জন্য পাবলিক হেলথ ইমারজেন্সির ক্ষেত্রে ঔষধ ইনভেস্টিগেশনাল ড্রাগ, ভ্যাক্সিন এবং মেডিকেল ডিভাইস মূল্যায়নের নিমিত্তে গঠিত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর অনুমোদন প্রদান করছে।

বাংলাদেশে এই টিকার স্থানীয় প্রতিনিধি এমএনসি অ্যান্ড এএইচ, স্বাস্থ্য অধিদফতর, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।

এতে বলা হয়েছে, টিকাটি ১৮ বছর এবং তদূর্ধ্ব বয়সের ব্যক্তির জন্য ব্যবহারযোগ্য। এটি বাংলাদেশ সরকারের ডিপ্লয়মেন্ট প্ল্যান অনুযায়ী নির্ধারিত বয়সের ব্যক্তিদের মধ্যে প্রদান করা হবে। টিকাটি সিঙ্গেল ডোজের এবং এর সংরক্ষণ তাপমাত্রা ২-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

যুক্তরাষ্ট্রে টিকাটির ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে দেখা গেছে, মাঝারি থেকে গুরুতর করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে এই ভ্যাকসিনটি ৭২ শতাংশ কার্যকর।

এর আগে, ২৬ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞানীদের পাশাপাশি ভোক্তা ও শিল্প প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে এফডিএ গঠিত ২২ সদস্যের কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠক হয়। সেখানে জনসন অ্যান্ড জনসনের উদ্ভাবিত এক ডোজের করোনার টিকাকে কার্যকর ও নিরাপদ উল্লেখ করে তা ব্যবহারের অনুমোদন দেয় যুক্তরাষ্ট্রের একটি স্বতন্ত্র বিশেষজ্ঞ প্যানেল।

ফাইজার বা মডার্নার মতো ফ্রিজারে খুব কম তাপমাত্রায় রাখার দরকার হয় না জনসন অ্যান্ড জনসনের উদ্ভাবিত টিকা। এটি সাধারণ ফ্রিজে রাখলেই চলে।

টিআই/এনএফ