মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মৃত্যুর পর গার্ড অব অনার দেয়ার ক্ষেত্রে নারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বিকল্প ব্যক্তি নির্ধারণের সুপারিশে তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়েছে সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি।

সোমবার (১৪ জুন) সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানানো হয়। বিবৃতিতে সই করেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম। 

বিবৃতিতে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মৃত্যুর পর গার্ড অব অনার দেওয়ার ক্ষেত্রে নারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বিকল্প ব্যক্তি নির্ধারণের সুপারিশ করেছে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী সংসদীয় কমিটির এই সুপারিশে সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি তীব্র প্রতিবাদ ও ক্ষোভ জানাচ্ছে।

এ ধরনের সুপারিশ স্বাধীন বাংলাদেশে একেবারেই অগ্রহণযোগ্য, সংবিধান পরিপন্থী, নারীর মানবাধিকার পরিপন্থী ও নারীর ক্ষমতায়ন পরিপন্থী। এ ধরনের সুপারিশ একজন নারীর জন্য যেমন অবমাননাকর, ঠিক একইভাবে একজন মুক্তিযোদ্ধার জন্যও অপমানজনক। কেননা, একটি স্বাধীন সার্বভৌম নারী-পুরুষের সমতাপূর্ণ প্রগতিশীল সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনের জন্যই মুক্তিযোদ্ধারা তাদের জীবন বাজি রেখেই মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। সংসদীয় কমিটির এ ধরনের সুপারিশ জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে নারী ইউএনও বলে কোনো পদ নাই। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় কৃতকার্যের মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয়। সেখানে নারী-পুরুষ বিভাজন সংবিধানবিরোধী। সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি নারীর ক্ষমতায়নকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে এ ধরনের ধর্মীয় মৌলবাদী বিভিন্ন অজুহাতকে প্রতিহত করার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছে। একইসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধে মন্ত্রণালয়ের এই সুপারিশ বাতিল ঘোষণা করার জোর দাবি জানাচ্ছে।

এমএইচএন/আরএইচ