প্রথমবারের মতো চট্টগ্রামে করোনার ভারতীয় ধরন (ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট) শনাক্ত হয়েছে। ৪২ করোনা রোগীর নমুনা পরীক্ষায় দুজনের মধ্যে এ ধরন পাওয়া গেছে। 

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগ এবং আইসিডিডিআরবি’র এক যৌথ গবেষণায় ভারতীয় ধরন পাওয়ার তথ্য উঠে এসেছে। এ গবেষণায় অর্থায়ন করেছে বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদ (বিএমআরসি)।

সোমবার (১৪ জুন) চট্টগ্রামে ভারতীয় ধরন পাওয়ার বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন গবেষণা দলের সদস্য ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. লায়লা খালেদা। 

তিনি বলেন, আমাদের গবেষণা চলমান। ৪২ করোনা রোগীর নমুনা বিশ্লেষণ করেছি। এতে চারটি ধরন শনাক্ত করা হয়েছে।
চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো আমরা ভারতীয় ধরন শনাক্ত করেছি। দুজনের মধ্যে এ ধরন শনাক্ত করা হয়েছে। এছাড়া, ৩৩ জনের মধ্যে করোনার দক্ষিণ আফ্রিকান ধরন (বিটা ভ্যারিয়েন্ট) শনাক্ত হয়েছে। তিনজনের মধ্যে নাইজেরিয়ান ধরন (ইটা ভ্যারিয়েন্ট) এবং চারজনের যুক্তরাজ্যের ধরন (আলফা ভ্যারিয়েন্ট) শনাক্ত করা হয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, যে দুইজন রোগীর শরীরে ভারতীয় ধরন পাওয়া গেছে তাদের ভারত ভ্রমণের কোনো ইতিহাস নেই। এছাড়া তারা ভারত থেকে আসা কারও সংস্পর্শে আসেননি। চট্টগ্রামে কমিউনিটি লেভেলে ভারতীয় ধরন চলে এসেছে। এই ধরনকে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণশীল ধরন বলা হচ্ছে। এখনই যদি আমরা সতর্ক না হই, তাহলে পরিণতি খুব খারাপ হবে।  

গবেষণায় ব্যবহৃত ৪২টি নমুনা চট্টগ্রাম বিভাগের সাতটি কোভিড-১৯ শনাক্তকরণ ল্যাব এবং হাসপাতাল থেকে নেওয়া হয়েছে। গবেষণা দলের নেতৃত্বে ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনলজি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আল-ফোরকান।

তবে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বী ঢাকা পোস্টকে বলেন, এখনও বিষয়টি আমাদেরকে জানানো হয়নি৷ তবে চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। গতকাল আক্রান্তের হার ছিল নয় শতাংশ আর আজ আক্রান্তের হার ২৪ শতাংশ। বিষয়টি আরও দু-তিন দিন দেখতে হবে। 

তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রামে করোনা সংক্রমণ আরও বাড়বে বলে আমরা আশঙ্কা করছি। বাড়ার বিষয়টি চিন্তা করে সেভাবেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কিছু কিছু উপজেলায় সংক্রমণ বেড়ে গেছে। সেসব এলাকায় সতর্ক করা হয়েছে, ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। 

কেএম/আরএইচ/জেএস