দেশীয় আবহাওয়া উপযোগী টিকা পেতে কোভ্যাক্সকে চিঠি
করোনা টিকার বৈশ্বিক উদ্যোগ কোভ্যাক্সের কাছে বাংলাদেশের আবহাওয়া উপযোগী টিকা চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
রোববার (১৩ জুন) দুপুরে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে এসে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র নাজমুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, দেশের ৮০ শতাংশ মানুষের টিকা নিশ্চিতে চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। এমনকি কোভ্যাক্সের মাধ্যমে যে টিকা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে- তাদের আমরা বারবার জানিয়েছি, বাংলাদেশের আবহাওয়ার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং আমাদের ইপিআরে রাখা যাবে এমন টিকা যেন আমাদের দেওয়া হয়। যেটি আমরা সহজেই মানুষের মধ্যে প্রয়োগ করতে পারি; দেশের জনগণকে দিতে পারি।
নাজমুল ইসলাম বলেন, ফাইজার-বায়োএনটেকের যে ১ লাখ ৬২০ ডোজ টিকা পেয়েছি তা এখনই প্রয়োগ শুরু করতে পারছি না।এই টিকায় ডাইলুয়েন্ট নামের মিশ্রণ মেশাতে হবে। সেই মিশ্রণ গত সোমবার রাতে আসার কথা থাকলেও আসেনি। ডাইলুয়েন্ট মিশ্রণ ছাড়া ফাইজারের টিকা প্রয়োগ করা যায় না। এর জন্য যোগাযোগ করা হচ্ছে। সেটি দেশে এলে ফাইজারের টিকা কত তারিখ থেকে দেওয়া যাবে তা জানানো হবে।
উপহার হিসেবে দেওয়া সিনোফার্মের আরও ৬ লাখ ডোজ টিকা এখন দেশের পথে জানিয়ে নাজমুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর দুটি সি১৩০ পরিবহন বিমান চীনে টিকা আনতে গেছে। আশা করছি সবকিছু ঠিক থাকলে এই টিকা আজই দেশে আসছে।
তিনি বলেন, দেশে এই মুহূর্তে ৪০ থেকে ৫০ হাজার পরীক্ষা করার সক্ষমতা রয়েছে। যদি করোনা পরীক্ষার জন্য উপস্থিতি সংখ্যা বাড়ে তাহলে আমরা পরীক্ষা বাড়াতে পারব।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকার চরম সংকটের মধ্যে বাংলাদেশকে ১০ লাখ ৮০০ ডোজ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেবে বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটন। এই টিকা আসবে কোভ্যাক্সের মাধ্যমেই। অ্যাস্ট্রাজেনেকার এই টিকা কবে দেশে আসছে জানতে চাইলে নাজমুল ইসলাম বলেন, এটা আলাপ-আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, টিকা পাওয়ার সুসংবাদ যেকোনো সময় পেয়ে যাব। অক্সফোর্ডের টিকা বাংলাদেশে আরও অন্তত ১৪ লাখ লাগবে। কারণ, যাদের সিরাম থেকে পাওয়া টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছিল টিকার অভাবে তাদের সবাইকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া যায়নি।
টিআই/এইচকে/জেএস