চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের সরিয়ে দিতে সোমবার (১৪ জুন) থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হবে। 

রোববার (১৩ জুন) ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পরিবেশ অধিদফতর চট্টগ্রাম মহানগরের পরিচালক মোহাম্মদ নুরুল্লাহ নুরী।

তিনি বলেন, সোমবার সকাল থেকে বায়েজিদ–ফৌজদারহাট লিংক রোডের দুই পাশের পাহাড়ে অভিযানের মধ্য দিয়ে শুরু হবে এ কার্যক্রম। অভিযানকালে যেসব ঝুঁকিপূর্ণ অবৈধ স্থাপনা আছে সেগুলো উচ্ছেদ করা হবে। 

তিনি আরও বলেন, কয়দিন ধরে এ উচ্ছেদ অভিযান চলবে তা এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। অভিযানের সময় কিছু ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া হয়, তার ওপর নির্ভর করবে অভিযান কতদিন চলবে। তবে যেসব পাহাড়ে গড়ে ওঠা-বসতি নিয়ে মামলা রয়েছে, সেগুলোর উচ্ছেদ আপাতত বন্ধ থাকবে।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় সরকারি ও ব্যক্তি মালিকানাধীন ১৭টি অতি ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে ৮৩৫টি পরিবার বসবাস করছে। বেশি ঝুঁকিপূর্ণভাবে ব্যক্তিমালিকানাধীন ১০টি পাহাড়ে অবৈধভাবে বসবাসকারী পরিবারের সংখ্যা ৫৩১টি। সরকারি বিভিন্ন সংস্থার মালিকানাধীন সাতটি পাহাড়ে অবৈধ বসবাসকারী পরিবারের সংখ্যা ৩০৪টি। 

এগুলোর বাইরেও সিডিএর বায়েজিদ–ফৌজদারহাট লিংক রোড নির্মাণের সময় নতুন করে ১৬টি পাহাড় কাটা হয়। সেখানকার ৮ পাহাড়ে নতুন করে অবৈধ বসতি গড়ে উঠেছে। সোমবার প্রথম দিনের অভিযানে বায়েজিদ লিংক রোডের অবৈধভাবে তৈরি করা ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনাগুলো  উচ্ছেদ করা হবে।

তবে পরিবেশবিদরা বলছেন, চট্টগ্রামের বিভিন্ন পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারী সংখ্যা প্রায় এক লাখ হবে। 

২০০৭ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রামে পাহাড়ধসে দুই শতাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। এর মধ্যে পাহাড়ধসে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যায় ২০০৭ সালে। ওই বছরের ১১ জুন টানা বর্ষণের ফলে চট্টগ্রামে পাহাড়ধসে ১২৭ জনের মৃত্যু হয়। ২০১৭ সালে মারা যান ৩০ জন।

কেএম/এসএম