ডিএসসিসির রিকশা লাইসেন্স প্রদানে হয়রানির অভিযোগ
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) রিকশা লাইসেন্স প্রদান কার্যক্রমে হয়রানির অভিযোগ করেছেন রিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইকচালক সংগ্রাম পরিষদ।
শুক্রবার (১১ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ অভিযোগ জানানো হয়।
বিজ্ঞাপন
সমাবেশে বক্তারা বলেন, সারাদেশে গ্রাম থেকে নগর-মহানগরে প্রায় ৫০ লাখ রিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইকচালক জনগণেকে সেবা দিচ্ছেন। কিন্তু ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইকের চলাচলে অনুমতি নেই বলে তা চালাতে বিভিন্ন জায়গায় বাধা দেওয়া হচ্ছে। রিকশা কিংবা ব্যাটারি আটক করা হচ্ছে। ব্যাটারি বিক্রি বৈধ, ইজিবাইক বিক্রি বৈধ। কিন্তু তা রাস্তায় চললে অবৈধ। এটা মেনে নেওয়া যায় না। সংগ্রাম পরিষদ নকশা আধুনিকায়ন ও নীতিমালা প্রণয়ন করে ব্যাটারি রিকশা ও ইজিবাইক এর লাইসেন্স প্রদানের দাবি জানাচ্ছে।
তারা আরও বলেন, ঢাকা মহানগরে প্রায় ১২ লাখ রিকশা-ভ্যান চলাচল করলেও লাইসেন্স আছে মাত্র ৮৭ হাজার। নতুন লাইসেন্স দেওয়া বন্ধ ছিল দীর্ঘসময়। আন্দোলনের মুখে গত বছর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নতুন লাইসেন্স দেওয়ার জন্য প্রক্রিয়া শুরু করে।
বক্তারা অভিযোগ করেন, লাইসেন্স প্রতি এক হাজার ১০০ টাকা ও আবেদন ফরম প্রতি ১০০ টাকা হিসেবে মোট এক হাজার ২০০ টাকা একটি রিকশার জন্য নেওয়া হয়েছে ব্যাংক ড্রাফটের মাধ্যমে। ইতোমধ্যে প্রায় ৩ লাখ আবেদন জমা পড়েছে। কিন্তু টাকা জমা দেওয়ার ছয় থেকে সাত মাস অতিবাহিত হলেও নতুন লাইসেন্স প্রদান নিয়ে সিটি করপোরেশন সময়ক্ষেপণ ও হয়রানি করছে। যার ফলে প্রায় তিন লাখ রিকশাচালকের জীবন-জীবিকা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের আহ্বায়ক খালেকুজ্জামান লিপু, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি রতন মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক এড. ফারুখ হোসেন, সংগ্রাম পরিষদ নেতা নবী হোসেন, তানভীর নাঈম, জিল্লুর রহমান মাস্টার, ফজলুল কবির শাহিন, বাবু হাসান, আব্দুল করিম, হাবু মিয়া প্রমুখ।
এমএইচএন/আরএইচ