সম্মিলিত অধিকার আদায় ফোরামের সংবাদ সম্মেলন

২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে নবম পে স্কেল ঘোষণাসহ ৮ দফা দাবি জানিয়েছে ১১ থেকে ২০তম গ্রেডের সরকারি চাকরিজীবীদের সংগঠন ‘সম্মিলিত অধিকার আদায় ফোরাম’।

শুক্রবার (১১ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ হলে ১১-২০ গ্রেডের সরকারি চাকরিজীবীদের সম্মিলিত অধিকার আদায় ফোরামের ব্যানারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটি এসব দাবি তুলে ধরে।

তাদের দাবিগুলো হচ্ছে- স্থায়ী পে কমিশন গঠন করে ৯ম পে-স্কেল ঘোষণার মাধ্যমে বেতন বৈষম্য নিরসনসহ গ্রেড অনুযায়ী বেতন স্কেলের পার্থক্য সমহারে নির্ধারণ করতে হবে। গ্রেড সংখ্যা কমাতে হবে। পে-স্কেল বাস্তবায়নের পূর্বে অন্তর্বর্তীকালীন সময় যৌক্তিক পরিমাণে মহার্ঘ ভাতা প্রদান করতে হবে; এক ও অভিন্ন নিয়োগ বিধি বাস্তবায়ন করতে হবে; সব পদে পদোন্নতি বা পাঁচ বছর পর পর উচ্চতর গ্রেড প্রদান করে ব্লক পোস্ট নিয়মিতকরণ করতে হবে; টাইম স্কেল, সিলেকশন গ্রেড পুনর্বহালসহ বেতন জ্যেষ্ঠতা বজায় রাখতে হবে; সচিবালয়ের মতো সচিবালয়ের বাহিরে সব দফতর, অধিদফতর এবং পরিদফতরে পদবী ও গ্রেড পরিবর্তন করতে হবে; সব ভাতা বাজার চাহিদা অনুযায়ী পুনঃনির্ধারণ করতে হবে; নিম্ন বেতনভোগীদের জন্য রেশনের ব্যবস্থা করতে হবে এবং বিদ্যমান গ্রাচুইটি, আনুতোষিকের হার ৯০ শতাংশের স্থলে ১০০ শতাংশ পুনঃনির্ধারণ করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান বলেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আট দফা দাবী বাস্তবায়নে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে ১৮ জুন ফোরাম জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে  মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করবে। এছাড়াও ফোরামের প্রতিনিধি দল সরাসরি প্রধানমন্ত্রী বরাবর তার দফতরে পুনরায় স্মারকলিপি দেবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ফোরামের সভাপতি লুৎফর রহমান, কার্যকরী সভাপতি কাজী ফাহাদুর রহমান রাজু, সিনিয়র সহসভাপতি শফিকুল ইসলাম খান, সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, মো. মোফাজ্জল হোসেন, ঢাকা মহানগরের সভাপতি মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।

এমএইচএন/এমএইচএস