কোনো উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য পরিবেশগত মতামত বা ছাড়পত্র পেতে যদি অযৌক্তিক বিলম্ব হয়, তাহলে ছাড়পত্র ছাড়াই সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের কাজ শুরুর পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তকে পুনর্বিবেচনা করতে বিবৃতি দিয়েছেন ৫০ জন বিশিষ্ট পরিবেশ সংরক্ষণবাদী।

মঙ্গলবার (৮ জুন) সংবাদ মাধ্যমে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সভাপতি সুলতানা কামাল ও সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিলের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর একটি সিদ্ধান্ত গণমাধ্যমে কল্যাণে আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। তিনি কোনো উন্নয়ন প্রকল্পের উপর পরিবেশগত মতামত বা ছাড়পত্র পেতে যদি অযৌক্তিক বিলম্ব হয় তাহলে ছাড়পত্র ছাড়াই সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের কাজ শুরু করার পরামর্শ দিয়েছেন। আমরা একমত যে, বিলম্বিত ছাড়পত্রের কারণে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের অনাকাঙ্ক্ষিত খরচ এবং দেশের জনগণের ওপর ঋণের বোঝা বৃদ্ধি পায়। আমরা মনে করি, ছাড়পত্র প্রদানের জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার মাধ্যমে ইতিবাচকভাবে এই সমস্যার সমাধান করা যায়। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের পরিবেশ অভিঘাত সংক্রান্ত মূল্যায়ন নিরপেক্ষ, বস্তুনিষ্ঠ ও সততার সঙ্গে প্রণীত হচ্ছে কি না সেদিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন। বর্তমানে এসব মূল্যায়ন অনেক ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ বিজ্ঞানভিত্তিক করা হয় না।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, পরিবেশ ছাড়পত্রের বিষয়ে শৈথিল্যের ধারায় নয়, বরং স্বল্প সময়ে দক্ষতা এবং আন্তরিকতার সঙ্গে পরিবেশ ছাড়পত্রের প্রণয়ন নিশ্চিত করার ধারাতেই কেবল স্থায়িত্বশীল উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি পালন এবং দেশের পরিবেশ রক্ষা করা সম্ভব।

বিবৃতিতে স্বাক্ষর দেন সুলতানা কামাল, ড. নজরুল ইসলাম, রাশেদা কে চৌধুরী, ড. আতিউর রহমান, স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন, অধ্যাপক নূর মোহাম্মদ তালুকদার, ডা. মো. আব্দুল মতিন, অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ, অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, ড. বদিউল আলম মজুমদার, অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, অধ্যাপক এম. এম. আকাশ, মহিদুল হক খান, শরীফ জামিল, মিহির বিশ্বাস, মো. শাহজাহান মৃধা, স্থপতি ইকবাল হাবীব, আলমগীর কবির, বিধান চন্দ্র পাল, শারমীন মুরশীদ, হাসান ইউসুফ খান, অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার, মারুফ হোসেন, স্থপতি সালমা এ শাফী, মো. তোফাজ্জল আলী, ড. মাহবুব হোসেন, রুহীন হোসেন প্রিন্স, এ. কে. এম মিজানুর রহমান, অধ্যাপক ড. সালেহ আহমেদ তানভীর, ফরিদা আকতার, স্থপতি জেরিনা হোসেন, অধ্যাপক আমিরুল আলম খান, ড. আদিল মোহাম্মেদ খান, ফাদার যোষেফ গোমেজ ওমী, সনজীব দ্রং, এম এস সিদ্দিকী, আতাউর রহমান মিটন, আমিনুর রসূল, ইবনুল সাঈদ রানা, আব্দুল করিম কিম, তোফাজ্জল সোহেল, মো. রফিকুল আলম, ফরিদুল ইসলাম ফরিদ, জিয়াউর রহমান, জামাত খান, ড. মনজুরুল কিবরিয়া, ফজলুল কাদের চৌধুরী, নূর আলম শেখ ও এস. এম মিজানুর রহমান।

এমএইচএন/এসকেডি