ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধন করে পরিবারের হাতে ব্যাংক তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা।‌

সোমবার (৭ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২০-২১ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটের ছাঁটাই প্রস্তাব আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। 

রুমিন ফারহানা বলেন, স্বাস্থ্যখাতে অবহেলার মাশুল দিতে হচ্ছে। জিডিপির অন্তত পাঁচ শতাংশ এই খাতে বরাদ্দ দেওয়া উচিত ছিল। দক্ষিণ এশিয়ার সবদেশে বরাদ্দ বাংলাদেশের চেয়ে অনেক বেশি। করোনাকালে ভারত স্বাস্থ্যখাতে আগের বছরের তুলনায় ১৩৭ শতাংশ বেশি বরাদ্দ দিয়েছে। বাংলাদেশে বেড়েছে মাত্র ১২ শতাংশ। করোনাকালেও বরাদ্দ বাড়ানো হয়নি। আবার যেটুকু বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে তাও ব্যবহার হয়নি।

তিনি বলেন, ১০ মাসে স্বাস্থ্য খাতে এডিপির মাত্র ২৫ শতাংশ ব্যয় হয়েছে। এখন আবার নতুন বরাদ্দ চাইছে। কেন ৭৫ শতাংশ অব্যবহৃত রয়ে গেছে তার জবাব স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী একাধিকবার জেলায় জেলায় আইসিইউ স্থাপন করতে বলেছেন। কিন্তু দেড় বছরে মাত্র ৫টি জেলায় নতুন আইসিইউ স্থাপন করা হয়েছে। এখনো ৪৫টি জেলায় আইসিইউ নেই।

রুমিন বলেন, এমপি-মন্ত্রী, ব্যবসায়ীরা অনেকে মনে করতেন সর্দি কাশি হলেও দেশে চিকিৎসা নিতে হবে না। করোনা দেখিয়েছে দেশে চিকিৎসা ছাড়া উপায় নেই।

তিনি বলেন, যখনই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে শেয়ার বাজার শুয়ে পড়ে। ৯৬ সালে, ২০০৯ সালে শুয়ে পড়ল। তৎকালীন অর্থমন্ত্রী বললেন, তিনি শেয়ারবাজার বোঝেন না। শেয়ার বাজার ফটকা বাজার। সেই অর্থমন্ত্রী স্পষ্ট কথা বলতেন, দলের বিপক্ষে গেলেও বলতেন।

বিএনপি'র এই সংসদ সদস্য বলেন, ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধন করে পরিবারের হাতে ব্যাংক তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। জনগণের টাকার হরিলুট হচ্ছে। সংসদে ঋণ খেলাপির তালিকা দেওয়া হলো। ৩০০ জন। তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হলো? বিদেশে ১ লাখ কোটি টাকার ওপরে চলে যাচ্ছে। ওভার আর আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে যাচ্ছে। এর বাইরে হুন্ডির পরিমাণ ধরলে আল্লাহ মাবুদ জানেন কত টাকা বিদেশে গেছে!

এইউএ/জেডএস