মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপন
বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ল ১৬ জুন পর্যন্ত
চলমান বিধিনিষেধের মেয়াদ আবারও বাড়িয়েছে সরকার। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আগামী ১৬ জুন পর্যন্ত চলবে বিধিনিষেধ।
রোববার (৬ জুন) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসজনিত রোগ (কোভিড -১৯ ) সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় পূর্বের সব বিধিনিষেধ ও কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় সূত্রস্থ স্মারকসমূহের নির্দেশনার অনুবৃত্তিক্রমে নিম্নোক্ত শর্তাবলী সংযুক্ত করে এ বিধিনিষেধ আরোপের সময়সীমা ৬ জুন ২০২১ তারিখ মধ্যরাত হতে ১৬ জুন ২০২১ তারিখ মধ্যরাত পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো।
প্রজ্ঞাপনে যেসব বিধিনিষেধের কথা বলা হয়েছে সেগুলো হলো-
১. সব পর্যটনস্থল, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদনকেন্দ্র বন্ধ থাকবে।
২. জনসমাবেশ হয় এ ধরনের সামাজিক (বিবাহোত্তর অনুষ্ঠান- ওয়ালিমা, জন্মদিন , পিকনিক, পার্টি ইত্যাদি), রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান বন্ধ রাখতে হবে।
৩. খাবারের দোকান ও হোটেল- রেস্তোরাঁসমূহ সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খাদ্য বিক্রয়/সরবরাহ (টেকঅ্যাওয়ে/অনলাইন) করতে পারবে এবং আসন সংখ্যার অর্ধেক সেবাগ্রহীতাকে সেবা দিতে পারবে।
৪. কোভিড-১৯ এর উচ্চঝুঁকি সম্পন্ন জেলাসমূহের জেলা প্রশাসকরা সংশ্লিষ্ট কারিগরি কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে স্ব-স্ব এলাকার সংক্রমণ প্রতিরোধে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবেন।
৫. আন্তঃজেলাসহ সব ধরনের গণপরিবহন আসনসংখ্যার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে পারবে। তবে অবশ্যই যাত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।
করোনার ২য় ঢেউ শুরু হওয়ায় এ বছরের ৫ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত প্রথমবার বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। সেটি ২ দিন বাড়িয়ে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়। এই বিধিনিষেধ খুব একটা কাজে না আসায় ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হয় ২ সপ্তাহের ‘কঠোর’ বিধিনিষেধ। এরপর থেকে বিভিন্ন শর্ত আরোপ ও শিথিল করে কখনো ৭ দিন কখনো ১০ দিন করে এ বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়াতে থাকে সরকার। সবশেষ বিধিনিষেধ ছিল ৩০ মে থেকে আজ ৬ জুন পর্যন্ত। আজ বিধিনিষেধ বাড়ানো হলো আরও ১০ দিনের জন্য।
দেশে করোনার সর্বশেষ পরিস্থিতি
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত করোনায় দেশে মোট মৃত্যু হয়েছে ১২ হাজার ৮৩৯ জনের।
এ সময় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৬৭৬ জন। মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮ লাখ ১০ হাজার ৯৯০ জনে।
এসএইচআর/আরএইচ/জেএস