খাদ্য ও পুষ্টিখাতকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে সমন্বিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। রোববার (৬ জুন) সচিবালয়ে নিজ অফিস কক্ষ থেকে এক সেমিনারে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

ইউএন ফুড সিস্টেম সামিট-২০২১ আয়োজনের প্রস্তুতিতে বাংলাদেশের ‘দ্বিতীয় জাতীয় পর্যায়ের সংলাপ’ শীর্ষক এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। 

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আর্থ সামাজিক উন্নয়ন ও নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের রোল মডেল। দেশের মানুষের জীবনমান বেড়েছে। শিগগিরই বাংলাদেশ হবে খাদ্য উদ্বৃত্ত দেশ।

সরকার ক্ষুধামুক্ত, আত্মনির্ভরশীল ও উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এরইমধ্যে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে, এখন নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করা খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অন্যতম অগ্রাধিকার কর্মসূচি।

মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান খাদ্য নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় নিয়ে কৃষির উন্নয়নে পরিকল্পনা হাতে নিয়েছিলেন। তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ খ্যাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, দেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্য চাহিদা পূরণ ও পুষ্টি নিশ্চিত করতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে জাতীয় খাদ্য ও পুষ্টিনীতি-২০২০ প্রণয়ন ও দ্বিতীয় জাতীয় পুষ্টি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম, সাবেক সচিব জাকির হোসেন আকন্দ, জাতিসংঘ ফুড অ্যান্ড অ্যাগ্রিকালচার এর কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ রবার্ট ডি সিম্পসন, ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমট চেঞ্জ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট এর ডাইরেক্টর প্রফেসর ড. সালিমুল হক। 

বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা সেমিনারে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।

এসএইচআর/জেডএস