থার্ড টার্মিনালের কাজ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি এগিয়েছে
চলতি বছরের জুন পর্যন্ত হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের ১৪ দশমিক ৫ ভাগ কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। শনিবার (৫ জুন) পর্যন্ত কাজ শেষ হয়েছে সাড়ে ১৭ ভাগ। আমরা লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও এগিয়ে আছি।
শনিবার (৫ জুন) বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।
বিজ্ঞাপন
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ টার্মিনালের আকার বর্তমান বিমানবন্দরের দুইগুণের বেশি। টার্মিনালের কাজের সঙ্গে আশকোনার হজক্যাম্প থেকে একটি টানেল করা হবে। এর মাধ্যমে হাজীরা হজক্যাম্প থেকে সরাসরি বিমানবন্দরে প্রবেশ করতে পারবেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর একান্ত ইচ্ছায় উন্নয়নের মহাসড়কে পা রেখেছে বাংলাদেশ। এরই অংশ হিসেবে দৃষ্টিনন্দন থার্ড টার্মিনাল নির্মাণ করা হচ্ছে। এই টার্মিনালের সঙ্গে মেট্রোরেল সংযুক্ত থাকবে। টার্মিনালটি হবে সম্পূর্ণ অটোমেটেড। দৃষ্টিনন্দন এ বিমানবন্দরে পা রেখেই একজন বিদেশি বাংলাদেশের সৌন্দর্য অনুধাবন করতে পারবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোভিড আগ্রাসনে সারাবিশ্ব যখন থমকে ছিল তখন একদিনের জন্যেও বন্ধ হয়নি থার্ড টার্মিনালের কাজ। ২০২৩ সালের জুন মাসে এই টার্মিনালের নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। তবে আমরা আশা করছি, নির্ধারিত সময়ের আগেই কাজ শেষ হবে।
এর আগে দুপুরে টার্মিনালের নির্মাণকাজ পরিদর্শন করেন প্রতিমন্ত্রী। তাকে কাজের সার্বিক অগ্রগতি ব্রিফ করেন সাইট ম্যানেজাররা।
৫ লাখ ৪২ হাজার বর্গমিটারের এ টার্মিনালে একসঙ্গে ৩৭টি প্লেন রাখার অ্যাপ্রোন (প্লেন পার্ক করার জায়গা) নির্মাণ করা হচ্ছে। টার্মিনাল ভবন হবে ২ লাখ ৩০ হাজার স্কয়ার মিটারের। ভবনের ভেতরে থাকবে পৃথিবীর উল্লেখযোগ্য ও অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তির ছোঁয়া।
বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে মেট্রোরেল। তৈরি হবে পৃথক একটি স্টেশনও। এর মাধ্যমে বাংলাদেশে আসা যাত্রীরা বিমানবন্দর থেকে বের না হয়েই মেট্রোরেলে করে নিজেদের গন্তব্যে যেতে পারবেন। এছাড়া ঢাকার যেকোনো স্টেশন থেকে মেট্রোরেলের মাধ্যমে সরাসরি বিমানবন্দরে ডিপার্চার বা বহির্গমন এলাকায় যাওয়া যাবে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর শাহজালাল বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্পটির অনুমোদন দেয় একনেক। নির্মাণ কাজে অর্থায়ন করছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)। বৃহৎ এই থার্ড টার্মিনাল প্রকল্পটির ব্যয় প্রথমে ধরা হয়েছিল ১৩ হাজার ৬১০ কোটি টাকা। পরে প্রকল্প ব্যয় ৭ হাজার ৭৮৮ কোটি ৫৯ লাখ টাকা বাড়ানো হয়।
এআর/এসকেডি