প্রয়াত বিশিষ্ট আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু এখন শুধুই স্মৃতি। করোনাকালে করোনার সঙ্গে লড়াই করে তিনি শেষ পর্যন্ত হেরে যান। কিন্তু তার জীবনের মহৎ কাজগুলোর কথা ভুলতে পারছেন না স্বজনরা।

জাতীয় সংসদে বাজেট অধিবেশন শুরুর পর বুধবার (২ জুন) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সম্পর্কে স্মৃতিচারণ করে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন। অন্য আরও কয়েকজন সংসদ সদস্যও প্রয়াতের স্মৃতিচারণ করেন।

জাতীয় সংসদে শোক প্রস্তাবে সদ্য প্রয়াত অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরুর ওপর আলোচনা, স্মৃতিচারণে তার অবদানের বিষয়টি তুলে ধরায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়েছেন আবদুল মতিন খসরুর স্ত্রী সেলিমা সোবহান খসরু। 

তিনি বৃহস্পতিবার (৩ জুন) এক বার্তায় জানান, আবদুল মতিন খসরু সারাজীবন সৎ রাজনীতি করেছেন এবং দল ও দেশের জন্য নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে গেছেন। বিশেষ করে জাতির পিতা ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার বিচারে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করে তিনি ইতিহাসের অংশ হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়টি জাতির সামনে তুলে ধরে মতিন খসরুর কর্মের স্বীকৃতি দিলেন। এতে আমার পরিবার ও আমি ব্যক্তিগতভাবে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ।

প্রধানমন্ত্রী বুধবার জাতীয় সংসদে শোক প্রস্তাবে আবদুল মতিন খসরুর স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, জাতির পিতা ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার বিচার করা যাবে না- এ ইনডেমনিটি বিল বাতিলের পদক্ষেপ নিয়েছিলেন আবদুল মতিন খসরু। ইনডেমনিটি বাতিল বিলটি সে সংসদে আনে এবং এ বিষয়ে যে বক্তব্য দেয় তা আজও আমার কানে বাজে। তাকে হারিয়ে আমাদের বড় ক্ষতি হয়ে গেল। 

তিনি বলেন, সুপ্রিমকোর্ট বারের ইলেকশনে তাকে বলেছিলাম, যাতে সতর্ক থাকে। সে সারাদেশ ঘুরে বেড়িয়েছে। তখনই তার করোনা হয়। সে যতোদিন হাসপাতালে ছিল প্রায় প্রতিদিনই তার খোঁজখবর নিয়েছি। আমি তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। এ সময় প্রধানমন্ত্রী আবেগে ভারাক্রান্ত হয়ে যান।

আবেগঘন স্মৃতিচারনের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আবদুল মতিন খসরুর স্ত্রী সেলিমা সোবহান খসরু বলেন, আবদুল মতিন খসরু জীবনভর ভালো কাজ করেছেন, আজকে সবাই তা স্মরণ করছেন- এটাই আমার জীবনের প্রাপ্তি। সংসদে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও অন্য মন্ত্রী, এমপিসহ বিরোধীদলের নেতারা আবদুল মতিন খসরুকে নিয়ে আবেগঘণ স্মৃতিচারণ করেন। তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানান সেলিমা সোবহান খসরু।

পিএসডি/এসএম