চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের অগ্রগতি বিষয়ক মতবিনিময় সভা

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, কর্ণফুলী নদীর নাব্যতা হারানো, অতীতের ন্যায় জলাধারের অভাব, খাল, নালা-নর্দমা ভরাট ও দখল করে স্থাপনা নির্মাণ এবং অবৈধ দখলের ফলে চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা দিন দিন বাড়ছে। 

মঙ্গলবার (১ জুন)  চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) সম্মেলন কক্ষে চট্টগ্রাম মহানগরের জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের অগ্রগতি বিষয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

মেয়র বলেন, আরএস খতিয়ান অনুযায়ী পুরনো খালগুলো উদ্ধার করতে হবে এবং অবৈধ দখলদার উচ্ছেদে সেবা সংস্থাগুলোকে কঠোর হতে হবে। জনসচেতনতা সৃষ্টি, আইন প্রয়োগ এবং প্রয়োজনে দোষীদের জরিমানা করতে হবে। 

উদ্ধারকৃত খালের রক্ষণাবেক্ষণ জরুরি উল্লেখ করে মেয়র বলেন, সিটি করপোরেশন ও সিডিএর প্রকৌশল বিভাগ এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে প্রকল্প বাস্তবায়নে বিদ্যমান সমস্যার সমাধান করতে হবে।

অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ বলেন, চাক্তাই, রাজাখালী, মহেশখালসহ যেসব খালে স্লুইস গেইট নির্মাণ করা হচ্ছে সেগুলো, সম্পন্ন হলে চট্টগ্রাম নগরী জলাবদ্ধতা মুক্ত হবে। চলমান প্রকল্পগুলো সম্পন্ন হলে তা সিটি করপোরেশনের নিকট হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান তিনি। এক্ষেত্রে করপোরেশনের পক্ষে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগের অনুরোধ জানান তিনি। 

মতবিনিময়কালে চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, কর্ণফুলী নদী বাঁচলে চট্টগ্রাম বন্দর বাঁচবে, চট্টগ্রাম বন্দর বাঁচলে দেশ বাঁচবে। প্রায় কয়েক মিটার গভীর পলিথিন স্তরের কারণে কর্ণফুলী নদীর ক্যাপিটাল ড্রেজিং বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে জলাবদ্ধতার কারণে প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ-আছাদগঞ্জ-কোরবানীগঞ্জ পাইকারি বাজার এলাকায় শত শত কোটি টাকার মালামাল নষ্ট হচ্ছে। আসন্ন বর্ষা মৌসুমকে ঘিরে ব্যবসায়ীরা এবারও শঙ্কিত। ব্যবসায়ীদের এ ধরনের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি। 
 
সভায় স্থপতি আশিক ইমরান, সিডিএ ও সিটি করপোরেশনের প্রকৌশল বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ  নেন। এ সময় জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল শাহ আলী।  

কেএম/আরএইচ