বাংলাদেশ থেকে আম আমদানির ব্যাপারে চীন ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমান। তিনি বলেন, চীন আম আমদানির ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বলেছেন, তিনি বাংলাদেশের আমের স্বাদ গ্রহণ করেছেন। তার কাছে মনে হয়েছে, বাংলাদেশের আম পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ স্বাদের আম। এছাড়াও কাঁঠাল ও পেয়ারার ব্যাপারে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। শিগগিরই এ দুটি পণ্য চীনে রপ্তানি করা সম্ভব হবে।

রোববার (৩০ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার চীন সফরের বিষয়ে জানাতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন ড. খলিলুর রহমান।

প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ বলেন, আমরা চাই চীনের সঙ্গে যে বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে তা কমিয়ে আনতে। সেজন্য পণ্যের ওপর ট্যাক্স মওকুফ ২০২৮ সালের পর আরও দুই বছর চেয়েছি।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে চীনা প্রেসিডেন্টের কাছে প্রধান উপদেষ্টা নিজেই বিষয়টি উত্থাপন করেছেন জানিয়ে ড. খলিলুর রহমান বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে চীন সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে বলে আশ্বাস দিয়েছে। এটা আমাদের জন্য একটা বড় পাওনা ছিল। এছাড়াও বিভিন্ন চ্যানেলে এটি নিয়ে কাজ চলছে।

আগামী ঈদের আগে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন করা যাবে সরকারের এমন মনোভাবের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে আগে যেখানে কথা বলাই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল সেখানে এখন বড় পরিসরে আলোচনা হচ্ছে। আমরা আশাবাদী এবার কিছু অগ্রগতি হবে। এছাড়াও আগামী সেপ্টেম্বর মাসে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে রোহিঙ্গা নিয়ে বিশেষ একটি অধিবেশন হবে।

এনএম/আরএইচটি/এসএসএইচ