ঢাকা থেকে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮টি কমিউটার ট্রেন দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়মিত যাতায়াত করে। এসব ট্রেনের টিকিট যাত্রা শুরুর আগে বেসরকারি কাউন্টার থেকে দেওয়া হয়ে থাকে। ঈদযাত্রার ষষ্ঠ দিন আজ সকালে টিকিট পেতে কমিউটার ট্রেনের কাউন্টারের সামনে শতশত মানুষের ভিড় লেগে আছে। কাউন্টার থেকে মানুষের লাইন গিয়ে ঠেকেছে পার্কিং পর্যন্ত।

অন্যদিকে আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রা শুরুর ২ ঘণ্টা আগে ট্রেনের মোট আসনের ২৫ শতাংশ টিকিট স্ট্যান্ডিং হিসেবে বিক্রয় করা হয়। ফলে ওই টিকিটের জন্যও আন্তঃনগর ট্রেনের কাউন্টারের সামনে মানুষের ভিড় রয়েছে।

শনিবার (২৯ মার্চ) সকালে দেশের প্রধান ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কমিউটার ট্রেনে অন্যান্য সময় একটি টিকিট কিনলে একটি আসন দিতো। কিন্তু ঈদের সময় তারা চার-পাঁচটি আসন একসঙ্গে না কিনলে সিটসহ টিকিট দেয় না। যেহেতু আন্তঃনগর ট্রেনগুলোতে টিকিট পাওয়া যায়নি তাই এটিই এখন শেষ ভরসা।

তিতাস কমিউটার ট্রেনের যাত্রী হাবিল হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, তিতাস কমিউটার ট্রেনে মানুষ বোঝাই হয়ে চলাচল করে। ওদের টিকিটের কোনো লিমিট নাই। যতক্ষণ পারে টিকিট বিক্রি করে। ট্রেনের ভেতর জায়গা আছে কি না সেটাও তারা দেখে না। ঈদের সময়, বাড়িতো যেতেই হবে।

চট্টগ্রামগামী কর্ণফুলী কমিউটার ট্রেনের যাত্রী ফিরোজ চৌধুরী বলেন, প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। জানি না টিকিট পাবো কি না। বাড়ি যাওয়ার সর্বশেষ চেষ্টা করছি।

কমিউটার ট্রেনের কাউন্টার থেকে ঢাকা পোস্টকে জানানো হয়েছে, ট্রেনের আসন সংখ্যাই ২৫০ থেকে ২৭০টি। ৫০০-৬০০ মানুষকে টিকিট দেব কোথা থেকে। ট্রেনের টিকিট তো আরও আগেই শেষ হয়ে গেছে।

এমএইচএন/এমএ