রাজধানীর মহাখালী থেকে উদ্ধার করা ছয় টুকরো মরদেহটির রহস্য উদঘাটন করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ওই ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যার পর মরদেহটি ছয় টুকরো করে ফেলে গেছেন তার প্রথম স্ত্রী ফাতেমা আক্তার। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ফাতেমাকে গ্রেফতার করেছে ডিবি।

ডিবির গুলশান বিভাগের উপকমিশনার মশিউর রহমান ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গ্রেফতার ফাতেমা ময়না মিয়াকে হত্যা করেন। পারিবারিক কলহের জেরে তিনি এই হত্যাকাণ্ডটি ঘটান।

এ বিষয়ে মঙ্গলবার (১ জুন) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানানো হবে।

ডিবি সূত্র জানায়, সোমবার তাকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদ করে ডিবি। বনানীতে তার দেখানো জায়গায় গিয়ে মাথাটি উদ্ধার করা হয়। ফাতেমার অভিযোগ, ময়না মিয়া তার কাছ থেকে শুধু টাকা চাইতেন। দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক কলহের জেরেই ময়না মিয়াকে হত্যা করেন তিনি। 

এর আগে রোববার মহাখালীর আমতলী থেকে হাত-পা ও মাথাবিহীন মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। সোমবার (৩১ মে) হাত-পা এবং মাথা উদ্ধার করা হয়। নিহতের আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে জানা যায় তার নাম ময়না মিয়া। তিনি অটোরিকশাচালক। তার বাড়ি কিশোরগঞ্জে। ফাতেমা ছাড়াও তার আরেক স্ত্রী রয়েছেন। ওই স্ত্রী কিশোরগঞ্জে থাকেন।

এমএসি/এআর/এসকেডি