হামফ্রে ফেলোশিপের আবেদন নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস
হুবার্ট এইচ হামফ্রে ফেলোশিপ প্রোগ্রামের ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে অংশগ্রহণেচ্ছুদের আবেদনপত্র নেওয়া শুরু হয়েছে। সোমবার (৩১ মে) ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস এ তথ্য জানায়।
এতে বলা হয়, ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের পাবলিক অ্যাফেয়ার্স সেকশন আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছে যে, হুবার্ট এইচ হামফ্রে ফেলোশিপ প্রোগ্রামের ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে অংশগ্রহণেচ্ছুদের আবেদনপত্র নেওয়া শুরু হয়েছে। এ ফেলোশিপ এক বছর মেয়াদি। সরকারি, বেসরকারি ও এনজিওতে কর্মরত পেশাজীবীদের জন্য এটি উন্মুক্ত।
বিজ্ঞাপন
দূতাবাস জানায়, হামফ্রে এইচ ফেলোশিপ কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অন্যতম ফুলব্রাইট কার্যক্রম। এর মাধ্যমে মেধাবী তরুণ ও মধ্য পর্যায়ের পেশাজীবীরা যুক্তরাষ্ট্রে ডিগ্রিবিহীন এক বছরের স্নাতক-স্তরের শিক্ষা গ্রহণ, নেতৃত্বের উন্নয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে কাজের মাধ্যমে পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির সুযোগ পান। এ কর্মসূচি ভবিষ্যতের নেতৃত্ব ও নীতি-নির্ধারকদের যুক্তরাষ্ট্রের সমাজ, সংস্কৃতি ও পেশাগত ক্ষেত্রগুলোর সঙ্গে পরিচিত করার মাধ্যমে আমেরিকানদের সঙ্গে বিদেশী পেশাজীবীদের একটি স্থায়ী ও ফলপ্রসূ সম্পর্ক গড়ে তোলার ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।
হামফ্রে ফেলোশিপের জন্য যারা আবেদন করতে পারবেন :
১. বাংলাদেশি নাগরিক হতে হবে। আবেদন করা ও আবেদনপত্র বাছাই প্রক্রিয়া চলাকালীন বাংলাদেশে অবস্থান করতে হবে।
২. দ্বৈত নাগরিক (বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র) কিংবা যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী বাসিন্দা হওয়া যাবে না।
৩. আবেদনকারীকে অবশ্যই তরুণ ও মধ্য-পর্যায়ের নেতৃত্বশীল পদে থাকা পেশাজীবী হতে হবে, যার জনসেবায় দৃষ্টান্তমূলক কাজ ও পেশাগত জীবনে অগ্রগতির সম্ভাবনা রয়েছে।
৪. সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন এমন কেউ হতে পারবেন না।
৫. পূর্ণকালীন শিক্ষার্থী হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কমপক্ষে চার বছরের শিক্ষা কার্যক্রম শেষ করার সনদ থাকতে হবে।
৬. বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি অর্জনের পর সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে ন্যূনতম পাঁচ বছরের পূর্ণকালীন কাজ করার পেশাগত অভিজ্ঞতা থাকতে হবে (২০২২ সালের আগস্টের আগে) এবং তাদের শিক্ষা ও কাজ সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের নীতিগত দিকগুলোতে আগ্রহ থাকতে হবে।
৭. শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কিংবা অ্যাকাডেমিক গবেষক এই ফেলোশিপের জন্য বিবেচিত হবেন না, তাদের অবশ্যই ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে (ব্যতিক্রম হিসেবে বিবেচিত হবেন যদি কেউ মাদকের অপব্যবহার বিষয়ক শিক্ষা, প্রতিরোধ ও চিকিৎসা এবং বিদেশি ভাষা হিসেবে ইংরেজি শেখানোর দায়িত্ব পালন করেন)।
৮. ২০২২ সালের আগস্ট মাসের পূর্ববর্তী সাত বছরের মধ্যে আবেদনকারী যুক্তরাষ্ট্রের কোনো স্নাতক স্কুলে এক শিক্ষাবর্ষ বা তার বেশি সময়ের জন্য লেখাপড়ায় অংশ নিয়ে থাকলে তিনি এই ফেলোশিপের জন্য অযোগ্য হবেন।
৯. ২০২২ সালের আগস্টের পূর্ববর্তী পাঁচ বছরের মধ্যে ছয় মাসের বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করার অভিজ্ঞতা থাকলে তিনি এই ফেলোশিপের জন্য যোগ্য হবেন না।
১০. ইংরেজি লেখা ও কথা বলা উভয়ক্ষেত্রে দক্ষ হতে হবে এবং টোফেল স্কোর কমপক্ষে ৫২৫ (পেপার-ভিত্তিক) কিংবা ৭১ (ইন্টারনেট-ভিত্তিক) হতে হবে। প্রার্থীদের যাদের টোফেল স্কোরের বৈধ মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে তাদেরকে নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষে টোফেল পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। (আমেরিকান সেন্টার কেবলমাত্র নির্বাচিত প্রার্থীদের জন্য টোফেল পরীক্ষার ব্যবস্থা করবে। অত্যন্ত প্রতিশ্রুতিশীল প্রার্থীরা যদি টোফেলে কম স্কোর পান তাহলে তাদেরকে দীর্ঘ-মেয়াদী ইংরেজি প্রশিক্ষণের জন্য মনোনীত করা হতে পারে।)
১১. আবেদনকারীকে অবশ্যই ফেলোশিপের জন্য নির্ধারিত প্রয়োজনীয় অভিজ্ঞতা, দক্ষতা ও প্রতিশ্রুতি দেখানোর পাশাপাাশি এ কথাও জানাতে হবে যে, তিনি কীভাবে এ ফেলোশিপ থেকে উপকৃত হবেন যা তিনি আগে কখনো হননি এবং হামফ্রে কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া ছাড়া এমন অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ তার নেই।
১২. সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে হবে। সফল প্রার্থীদের মেডিকেল পরীক্ষা করার জন্য অনুরোধ করা হবে।
১৩. ফেলোশিপ শেষ হওয়ার পর বাংলাদেশে ফিরে আসতে হবে।
ফেলোশিপের জন্য আবেদনের নিয়ম :
হামফ্রে ফেলোশিপ প্রোগ্রাম এর আবেদনপত্র ব্যবহারের অনুমতি পেতে (অ্যাক্সেস পেতে) একজন আবেদনকারীকে অবশ্যই প্রথমে একটি আইআইই অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে।
ফেলোশিপ কর্মসূচির জন্য একটি অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন সিস্টেম ব্যবহার করা হয়। আবেদনের জন্য আবেদনকারীকে ওয়েবসাইট ভিজিট করতে হবে। এই কর্মসূচি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে লিংকে ক্লিক করতে হবে।
এনআই/আরএইচ