যেসব জেলায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঊর্ধমুখী সেসব জেলায় লকডাউনের পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। সোমবার (৩১ মে) সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ কথা জানান।

যেসব জেলায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঊর্ধমুখী সেসব জেলায় লকডাউনের পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। সোমবার (৩১ মে) সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ কথা জানান।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের সীমান্ত এলাকায় মৃত্যু এবং আক্রান্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এজন্য কারিগরি কমিটির পরামর্শ মতে, সীমান্তের সাত জেলায় দ্রুতই সর্বাত্মক লকডাউন দেওয়া হবে। এছাড়া যেসব জেলায় কোভিডের সংক্রমণ ঊর্ধমুখী সেখানে লকডাউন দেওয়ার জন্য  স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব লকডাউন দিয়ে দেওয়া উচিত, যাতে সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়ে।

চীনের টিকা আসা মাত্রই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনা হবে বলেও জানান তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কয়েক লাখ শিক্ষার্থী রয়েছে। তাদের টিকাদান কঠিন কোনো বিষয় না। টিকা নিয়ম মাফিক সিরিয়ালওয়াইজ দেওয়া হবে। যারা নিবন্ধন করেছেন তাদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে। ছাত্রদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। সরকারি, বেসরকারি সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হবে। 

নিবন্ধন প্রক্রিয়া কবে থেকে শুরু হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, টিকার প্রাপ্যতা নিশ্চিত হলেই আবার নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হবে। টিকা দেশে আসামাত্রই আবারও নিবন্ধন শুরু হবে। ফাইজারের টিকা নিবন্ধনকৃতদের মধ্য থেকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেওয়া হবে।

জুন, জুলাই এবং আগস্টে প্রতি মাসে ৫০ লাখ করে চীনা টিকার ডোজ আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে মন্ত্রী বলেন, চীনের মতোই রাশিয়ার কাছ থেকে একই পরিমাণ টিকা আসবে। রাশিয়ার কাছে প্রস্তাবনা গেছে, শিগগিরই চুক্তি হবে। আগে টিকা আসবে, উৎপাদনের প্রস্তুতিও চলমান থাকবে। 

ভারতের কাছে পাওনা অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা আনার চেষ্টা এখনও অব্যাহত আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ৫ কোটি মানুষকে টিকার আওতায় আনা গেলে দেশে করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে।

এর আগে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে ভারতের সীমান্তবর্তী আরও সাত জেলায় লকডাউনের সুপারিশ করেছিল স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিশেষজ্ঞ কমিটি। ওই সুপারিশের পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ লকডাউনের পরামর্শ দিল। 

রোববার (৩০ মে) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্য ও জনস্বাস্থ্যবিদ ড. আবু জামিল ফয়সাল ঢাকা পোস্টকে বলেছিলেন, শনিবার (২৯) এক বৈঠকে চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ নওগাঁ, নাটোর, সাতক্ষীরা, যশোর, রাজশাহী, কুষ্টিয়া ও খুলনা জেলায় লকডাউনের সুপারিশ করা হয়েছে। 

তখন ড. আবু জামিল ফয়সাল আরও বলেছিলেন, ইতোমধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জে লকডাউন চলছে। নতুন করে আরও সাতটি জেলাকে যুক্ত করা হয়েছে। তবে কক্সবাজার, ফেনী ও নোয়াখালী- এই তিনটি সীমান্তবর্তী জেলার ব্যাপারে সুপারিশ করা হয়নি। এই জেলাগুলোতে সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে কমিটি। সংক্রমণ পর্যবেক্ষণ করে পর্যায়ক্রমে এগুলোতেও লকডাউনের চিন্তা করা যেতে পারে।

এসএইচআর/এইচকে