হাত-পা ও মাথাবিহীন সেই মরদেহের পরিচয় মিলেছে
রাজধানীর মহাখালী থেকে একটি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে ওই মরদেহটি শনাক্ত না করতে পারলেও পরে পরিচয় জানা গেছে।
নিহতের ওই ব্যক্তির নাম ময়না মিয়া (৩৮)। তার বাড়ি সিলেটের গোলাপগঞ্জে।
বিজ্ঞাপন
সোমবার (৩১ মে) সকালে মরদেহের পরিচয় শনাক্তের বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন শিল্পাঞ্চল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কিশোর শীল।
তিনি বলেন, গতকাল (রোববার) রাতে বনানী থানা পুলিশ মহাখালী থেকে হাত-পা ও মাথা কাটা মরদেহ উদ্ধার করে। আমাদের থানা এলাকায় অর্থাৎ মহাখালী বাস টার্মিনাল এলাকায় ডাস্টবিন থেকে কাটা অবস্থায় ওই মরদেহটির হাত পা উদ্ধার করা হয়। পরে দুই থানার সুরতহাল প্রতিবেদনে নিশ্চিত হওয়া যায় কাটা হাত পা এবং কাটা শরীর একই ব্যক্তির।
বিপ্লব কিশোর শীল আরও বলেন, পরে আমরা কাটা হাতের আঙুলের ছাপ নিয়ে ডাটা সার্ভারে মেলাতে থাকি। মেলানোর একপর্যায়ে নিহতের জাতীয় পরিচয়পত্রটি আমরা খুঁজে পাই ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে। তার নাম ময়না মিয়া। তিনি সিলেটের গোলাপগঞ্জের বাসিন্দা। দুটি বিয়ে করেছেন। তার দ্বিতীয় স্ত্রীর বাড়ি কিশোরগঞ্জে। তিনি প্রথম স্ত্রী শিল্পীকে নিয়ে ঢাকায় থাকতেন বলে আমরা জানতে পেরেছি। তবে শিল্পীকে এখনও আমরা খুঁজে পাইনি। তাকে খোঁজা হচ্ছে। এছাড়া তার কিশোরগঞ্জের শ্বশুর বাড়িতে খবর দেওয়া হয়েছে, তারা ঢাকায় আসছেন। তারা ঢাকায় এলে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।
বিপ্লব কুমার শীল বলেন, আমরা বনানী থানায় যোগাযোগ করে জেনেছি- মরদেহের মাথা এখনও পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি। নিহতের দ্বিতীয় স্ত্রী নাসরিন কিশোরগঞ্জ থেকে এলে হয়ত মামলা হবে। তবে আমরা তদন্ত করে দেখছি এই যুবককে কীভাবে মারা হয়েছে বা তার কীভাবে মৃত্যু হয়েছে।
এর আগে রোববার (৩০ মে) রাতে মহাখালীর আমতলী সড়ক থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের সময় মরদেহটি বস্তাবন্দি ছিল। পুলিশ বস্তা খুলে মরদেহ দেখতে পায়। মহাখালীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনাস্থলটি বনানী থানা এলাকায় পড়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গতরাতে বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আজম জানান, সড়কের পাশে গাড়ি থেকে বস্তাটি কেউ ফেলে যায়। পরে বস্তা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। আমরা তার পরিচয় জানার চেষ্টা করছি। মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। কে বা কারা এই মরদেহ রেখে গেছে, তা এখনও জানা যায়নি। পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করছে।
এমএসি/এসএসএইচ