১৫ দিনের মধ্যে চট্টগ্রাম নগরীর খালের বাঁধগুলো কেটে দিতে হবে
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চলমান মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজে দেওয়া খালের বাঁধ আগামী ১৫ দিনের মধ্যে কেটে দিতে হবে। না হলে কিছুদিনের মধ্যে শুরু হতে যাওয়া বর্ষায় নগরী জলাবদ্ধতায় ডুবে যাবে। যার নমুনা ঈদের দিন এক ঘণ্টা বৃষ্টিতে টের পাওয়া গেছে।
রোববার (৩০ মে) চট্টগ্রাম নগরীর টাইগার পাসে চসিকের অস্থায়ী কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে মহানগরীর প্রাকৃতিক খালগুলোর অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা ও মনিটরিংয়ের জন্য গঠিত টাস্কফোর্স কমিটির দ্বিতীয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
মেয়র বলেন, নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে খালগুলাের যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ, দখল হওয়া খালের পুনঃরুদ্ধার, খাল খনন কাজ দ্রুত শুরু করা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, নগরবাসীকে জলাবদ্ধতা থেকে পুরোপুরি মুক্তি দিতে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। যদি প্রকল্পটি সঠিকভাব বাস্তবায়িত না হয় তাহলে প্রধানমন্ত্রীর একটি সদিচ্ছার অপমৃত্যু হবে এবং টাকারও অপচয় হবে। তাই এই টাস্কফোর্স কমিটি এখন থেকে অন্তত দুই মাস পর সভায় মিলিত হতে হবে এবং নিয়মিত মনিটরিং করার দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করতে হবে।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও পানি উন্নয়ন বোর্ড যেসব স্লুইস গেট নির্মাণ করছে তা সম্পন্ন হয়ে গেলে পরিচালনার দায়িত্ব পানি উন্নয়ন বাের্ডক দেওয়া হলে তাদের অভিজ্ঞতা দিয়ে তা পরিচালনা সম্ভব হবে বলে জানান মেয়র। তিনি এই কমিটিতে চট্টগ্রাম ওয়াসাকে সংযুক্ত করার ওপর গুরুত্বারােপ করেন।
সভায় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস বলেন, চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসন ঢাকার চেয়েও কঠিন। চউক ৫৭টি খালের মধ্যে ৩৬টিতে কাজ করছে। বাকি খালগুলােতে কাজ করা উচিত। এজন্য চসিক আলাদা প্রকল্প গ্রহণ করতে পারে। ৪১টি স্লুইস গেটের মধ্যে চউক ১৭টিতে পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করছে। এ প্রকল্পগুলাে শেষ হলে চসিকের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
তিনি জানান, মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে যে বাঁধ দেওয়া হয়েছে সে বাঁধ মে মাসের মধ্যে অপসারণের জন্য অনুরােধ করেছিলাম। কিন্তু যারা কাজ করছেন তারা আরও কিছুদিন সময় চেয়েছেন।
সভায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার জিল্লুর রহমান বলেন, চট্টগ্রাম নগরীর প্রাণ কর্ণফুলী নদীতে প্রতিদিন ২২ হাজার টন মানববর্জ্য পড়ছে। ফলে এই নদীর দূষণ ঠেকানাে যাবে কি না বা আদৌ কর্ণফুলীকে বাঁচানাে যাবে কি না তা ভাবা উচিত।
কর্ণফুলী নদীতে ক্যাপিটাল ড্রেজার দিয়ে খনন সম্ভব হচ্ছে না জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে দুই থেকে আড়াই মিটার স্তরে পলিথিনের কারণে ড্রেজিং করা যাচ্ছে না।
কমিটির সদস্য সচিব ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মােজাম্মেল হকের সঞ্চালনায় প্যানেল মেয়র মাে. গিয়াস উদ্দীন, কাউন্সিলর এম. আশরাফুল আলমসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন।
কেএম/জেডএস