বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদের সংগৃহীত ছবি

পঞ্চম প্রজন্মের দ্রুতগতির ইন্টারনেট প্রযুক্তি চালু হলে বর্তমান পাটকল ও চিনি শিল্পের শ্রমিকদের মধ্যে প্রায় ৯৫ শতাংশ শ্রমিক কাজ হারাবে বলে মনে করে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।

মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃক্তিতে এ কথা জানান অ্যাসোসিয়েশনটির সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, সরকার চলতি বছর পঞ্চম প্রজন্মের ইন্টারনেট চালু করতে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে ২৬শ ও ৩৫শ ব্র্যান্ডের তরঙ্গের ব্লক ও মূল্য নির্ধারণ করার লক্ষ্যে ফাইভ-জি কমিটি কাজ করছে। সরকারের লক্ষ্য ফাইভ-জি আপাতত ব্যবহার করা হবে শিল্প ও কলকারখানায়। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবিলায় সরকার সকল শিল্প-কারখানায় ফাইভ-জি সংযোগ দিতে চায়। এ লক্ষ্যে ইতিমধ্যে আইওটি ডিভাইস নির্মাণপ্রতিষ্ঠান তাদের উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দেশের পাটকল ও চিনি শিল্প ধারাবাহিক লোকসানের কারণে সরকার বন্ধ করে দিয়েছে। শ্রমিক সংগঠন ও নেতাদের দাবি পাটকল ও চিনি শিল্পকে আধুনিক ভাবে নির্মাণ করা গেলে ও উৎপাদন বাড়লে লোকসান এড়িয়ে লাভ করা সম্ভব। তাদের দাবি, এতে করে সকল শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি কর্মসংস্থান আরও বৃদ্ধি হবে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, কিন্তু আমাদের মূল্যায়ন হচ্ছে ফাইভ-জি বাস্তবায়নের ফলে এই শিল্প-কলকারখানাগুলোর উৎপাদন ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি হবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। উৎপাদন ব্যবস্থায় শ্রমিকের পরিমাণ হবে খুবই কম। কিন্তু বর্তমানে যে শ্রমিক ভাইয়েরা কাজ করছেন তাদের মধ্যে প্রায় ৯৫ শতাংশ আধুনিক প্রযুক্তির জ্ঞানসম্পন্ন নয়। ফলে শিল্প কলকারখানা প্রযুক্তি নির্ভর ও অধিক উৎপাদন সম্পন্ন হবার পাশাপাশি এ খাতের বর্তমানে প্রযুক্তিজ্ঞানহীন প্রায় ৯৫ শতাংশ শ্রমিকই কর্মহীন হয়ে পড়বেন।

সরকারের প্রতি পরামর্শ জানিয়ে মহিউদ্দিন আহমেদ বিবৃতিতে বলেন, ফাইভ-জি বাস্তবায়নের আগেই রাষ্ট্রীয় শিল্প-কলকারখানার সকল শ্রমিককে প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন করতে প্রশিক্ষণ দিতে হবে।

এইচএন/এইচকে