মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা প্রজ্ঞাপন
চলমান বিধিনিষেধ বাড়ল ৬ জুন পর্যন্ত
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত চলমান বিধিনিষেধের মেয়াদ আরও সাত দিন বাড়ানো হয়েছে। ফলে ৬ জুন পর্যন্ত বিধিনিষেধ বহাল থাকবে।
রোববার (৩০ মে) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় আগের সব বিধিনিষেধ আরোপের সময়সীমা ৩০ মে মধ্যরাত থেকে আগামী ৬ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত ৫ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। সেটি শেষ পর্যন্ত ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এরপর ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হয় ‘কঠোর’ বিধিনিষেধ।
বিভিন্ন শর্ত আরোপ ও শিথিল করে বেশ কয়েকবার এ বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ানো হয়। সর্বশেষ গত ২৩ মে (রোববার) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে নতুন করে এক সপ্তাহ বিধিনিষেধ বাড়ানো সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। সেই বিধিনিষেধ ছিল আজ ৩০ মে পর্যন্ত।
পরিস্থিতি বুঝে সীমান্তবর্তী জেলায় চলাফেরার ওপর নিয়ন্ত্রণ
রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, ‘সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর ওপর আমরা বিশেষ নজর রেখেছি, যদি সেখানে আমাদের নিয়ন্ত্রণ করতে হয়...ওই জায়গাগুলোতে চলাফেরার ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে পারব। বিষয়গুলো আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। আপাতত স্পষ্ট করে কিছু বলা যাচ্ছে না। পরিস্থিতি বুঝে আমরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব।’
তিনি বলেন, ‘এরইমধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্থানীয়ভাবে লকডাউন দিয়েছি। ভারতের বিষয়টির আশঙ্কা থেকেই জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে সেটা আমরা করছি। সীমান্তবর্তী কয়েকটি জেলায় স্থানীয়ভাবে বিধিনিষেধ দেওয়ার বিষয়ে প্রস্তাব এসেছে, আমরা সেটি নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করছি। সেই বিষয়ে আমরা হয়তো জানাব, কী করা যেতে পারে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, সাতক্ষীরা, কুষ্টিয়া, রাজশাহী, যশোর ও নাটোর-জেলাগুলোর মধ্যে সাতক্ষীরার বিষয়টি আমরা একটু বেশি দেখছি। হয়তো সিদ্ধান্ত আসবে কীভাবে এটা করা যায়। তবে আমরা চাইব যে জায়গাটিতে স্পেসিক্যালি আক্রান্ত সেই জায়গাটিতে শনাক্ত করার চেষ্টা করব। এমনও হতে পারে পুরো সাতক্ষীরা নয়, যে স্থানটিতে বেশি সংক্রমণ সেই জায়গা নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করব। যাতে মানুষের জীবনজীবিকা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। সরকার সেই বিষয়টি খেয়াল রাখছে।’
এসএইচআর/এনএফ/জেএস