বাবুল আক্তার ফেনী কারাগারে
মাহমুদা খানম (মিতু) হত্যা মামলার প্রধান আসামি সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ফেনী কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার (২৯ মে) সকালে তাকে ফেনী কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন
চট্টগ্রাম কারাগারের জেলার দেওয়ান মো. তারিকুল ইসলাম।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী বাবুল আক্তারকে ফেনী কারাগারে নেওয়া হয়েছে। এখানে অন্য কোন বিষয় নেই। তারপর আদালত বন্ধ রয়েছে।
কতদিন বাবুল আক্তারকে ফেনী কারাগারে রাখা হতে পারে- এ প্রশ্নের জবাবে জেলার বলেন, নিদিষ্ট কোনো সময় নেই। দেখা যাক, কী হয়। মাত্র গেলেন তো। পরবর্তীতে যে নির্দেশনা আসবে সে অনুযায়ী পরবর্তী কার্যক্রম হবে।
স্ত্রী হত্যা মামলায় শ্বশুরের দায়ের করা মামলার আসামি হিসেবে ১৭ মে থেকে চট্টগ্রাম কারাগারে ছিলেন সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার। ওই দিন তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে স্বীকারোক্তি দেওয়ার জন্য হাজির করা হলেও তিনি শেষ মুহূর্তে গিয়ে মত পাল্টান। পরে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠান।
২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরের নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মাহমুদা খানম (মিতু)। ওই সময় এ ঘটনা দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচিত হয়। ঘটনার সময় মিতুর স্বামী পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার অবস্থান করছিলেন ঢাকায়। ঘটনার পর চট্টগ্রামে ফিরে বাবুল আক্তার পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
জঙ্গিবিরোধী কার্যক্রমের জন্য স্ত্রীকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে মামলায় অভিযোগ করেন তিনি। তবে দিন যত গড়িয়েছে মামলার গতিপথও পাল্টেছে। এক পর্যায়ে সন্দেহের কেন্দ্রবিন্দুতে আসে স্বামী বাবুল আক্তারের নাম। তদন্তে তার বিরুদ্ধেই হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার সংশ্লিষ্টতা পাওয়ার পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মঙ্গলবার (১১ মে) ডেকে তাকে হেফাজতে নেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
পরে ১২ মে বাবুল আক্তারসহ আটজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। স্ত্রী মাহমুদা খানম (মিতু) হত্যা মামলার প্রধান আসামি বাবুল আক্তারকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পিবিআই। রিমান্ড শেষে প্রথমে আদালতে জবানবন্দি দেওয়ার কথা থাকলেও পরে জবানবন্দি দেননি বাবুল। তারপর তাকে চট্টগ্রাম কারাগারে পাঠানো হয়।
কেএম/আরএইচ