ফ্রি ফায়ার, পাবজিসহ কোনো গেম বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়নি
দেশে ফ্রি ফায়ার, পাবজিসহ কোনো গেম বন্ধের সুপারিশ বা নির্দেশনা আসেনি বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেন, এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।
শনিবার (২৯ মে) দুপুরে ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। এদিকে গেম বন্ধ বিষয়ে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে কোনো সুপারিশ আসেনি বলে নিশ্চিত করেছে নির্ভরযোগ্য সূত্র।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন : ফ্রি ফায়ার ও পাবজি নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি
গেম বিষয়ে মত প্রকাশ করতে গিয়ে মোস্তাফা জব্বার ঢাকা পোস্টকে বলেন, আসলে একেকজনের মাথাব্যথা একেক রকম। এ বিষয়ে প্রচুর এসএমএস পাচ্ছি। কেউ বন্ধের পক্ষে, কেউ বন্ধ না করার পক্ষে মত দিচ্ছেন। বিভিন্নজন বিভিন্ন মত প্রকাশ করছেন। তবে আমাদের কাছে এসব গেম বন্ধের বিষয়ে এখন পর্যন্ত কারও কাছ থেকে কোনো সুপারিশ বা নির্দেশনা আসেনি।
তিনি বলেন, আমি একটা জিনিস বুঝি। সেটা হচ্ছে, আমাদের যে ক্ষমতা আছে সেই ক্ষমতায় যদি একটা অ্যাপকে বন্ধও করি, আমি ভিপিএন কিন্তু বন্ধ করতে পারব না। ফলে যার খেলা সে খেলবেই।
গেম খেলা বিষয়ে তিনি বলেন, গেম তো পোলাপান আজ থেকে খেলে না। এক সময়ে ঢাকা শহরে ভিডিও গেমসের দোকান দেখেছি। স্পষ্ট মনে আছে, এক সময় লক্ষ লক্ষ গেমের সিডি বিক্রি হয়েছে। কম্পিউটারে অনেকেই গেম খেলেছে। এক সময় কম্পিউটার গেম ছিল, এখন অনলাইন গেম হয়েছে।
‘এসব গেম খেলার ফলে শিক্ষার্থীসহ অনেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কি না’- এমন প্রশ্নের উত্তরে মোস্তাফা জব্বার বলেন, একেকজন একেক রকম মত দিতেই পারেন। কেউ চিন্তা করতে পারেন- মাথা ব্যথা হয়েছে তো মাথাটা কেটে ফেলতে হবে। ঠিক হয়ে যাবে। কেউ বলতে পারেন যে, মাথাব্যথা হয়েছে ওষুধ খাও ঠিক হয়ে যাবে। তো এ বিষয়ে আমাদের দিক থেকে কোনো চিন্তাভাবনা বা খবর জানা নেই। গেম বন্ধের বিষয়ে কেউ আমাদের কিছু বলেছে বলেও জানা নেই।
মন্ত্রী বলেন, আমার ছেলেমেয়েরাও গেম খেলেছে। তারা তো নষ্ট হয়নি। আমি যেটা বিশ্বাস করি সেটা হচ্ছে, আপনি যদি আপনার নিজের সন্তানকে সঠিকভাবে পরিপালন করতে না পারেন তাহলে অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে লাভ নাই।
পরিবারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনার সন্তান গেম খেলছে নাকি আড্ডা দিচ্ছে, নাকি কারও সঙ্গে গিয়ে মাদক সেবন করছে- ওটা তো আপনি দেখাশোনা করবেন। টেকনোলজি আসা বন্ধ করতে পারবেন না। ডিভাইসে গেম বন্ধ করার উপায় আছে, সেটা প্রয়োগ করলেই তো পারেন। আমার কোনো বন্ধুবান্ধবের সন্তান নষ্ট হয়েছে বলে তো শুনি না।
মন্ত্রণালয় বা কোনো পক্ষ থেকে গেম বন্ধ করার পরামর্শ বা চিন্তাভাবনা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের যদি যথাযথ কর্তৃপক্ষ কোনো নির্দেশ প্রদান করে তাহলে সেই নির্দেশ বাস্তবায়ন করি। গেম বন্ধের বিষয়ে কোনো যথাযথ কর্তৃপক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়নি। বিটিআরসি নিজে কোনো সিদ্ধান্ত নেয় না। এছাড়া কোনো কিছু বন্ধের পরিকল্পনা করার এখতিয়ারও নাই মন্ত্রণালয়ের।
এ বিষয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ. কে. এম. রহমতুল্লাহ ঢাকা পোস্টকে বলেন, গেম বন্ধ বিষয়ে কোনো আলোচনা বা সিদ্ধান্ত সংসদীয় কমিটির সভায় হয়নি।
একে/এইচকে