ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টগুলোতে প্রেষণে নিয়োগ পাওয়া কর্মীদের চাকরি স্থায়ীকরণ নিয়ে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) স্থায়ী কর্মীদের মধ্যে মতবিরোধ তৈরি হয়েছে। এছাড়া এক পক্ষ বর্তমান খসড়া সার্ভিস রুলস ৩ দিনের মধ্যে চূড়ান্ত করা এবং অন্যপক্ষ আরও সময় নিয়ে চূড়ান্ত করার কথা বলছে।

এমন মতবিরোধের জেরে একটি পক্ষ আগামীকাল ২১ ফেব্রুয়ারি গুরুত্বপূর্ণ দিনে মেট্রোরেল না চালানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে। 

ডিএমটিসিএল কোম্পানির স্থায়ী কর্মীরা বলছেন, ২০ ফেব্রুয়ারি মধ্যে খসড় হিসেবে তৈরি করা সার্ভিস রুলস চূড়ান্ত করতে হবে। 

প্রেষণে নিয়োজিত কর্মীরা বলছেন, খসড়া সার্ভিস রুলস ও তফসিলে অসংগতি রয়েছে। ফলে ৩ দিনের মতো স্বল্প সময়ের মধ্যে বিশ্লেষণ করে মতামত দেওয়া সম্ভব না।

দুপক্ষের সঙ্গেই কথা বলে ঢাকা পোস্ট জানতে পারে, ডিএমটিসিএল থেকে প্রেষণে নিয়োগ পাওয়া প্রকল্পের কর্মীরা নিয়োগ পেয়েছেন আগে। আর কোম্পানির স্থায়ী কর্মীরা নিয়োগ পেয়েছেন পরে। ফলে যদি আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির সুপারিশগুলো আগে বাস্তবায়ন করা হয়, তবে প্রকল্পের কর্মীরাই হবেন জ্যেষ্ঠ। কারণ, আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি তাদেরকে স্থায়ীভাবে কোম্পানিতে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেছে। যদি বর্তমান খসড়া সার্ভিস রুলস আগে চূড়ান্ত করা হয়, তাহলে কোম্পানির কর্মীরা হবেন জ্যেষ্ঠ। কারণ, খসড়া সার্ভিস রুলসের ১০৩ নম্বর বিধানে ডিএমটিসিএল থেকে প্রেষণে পদায়নের বিষয়টি অগ্রাহ্য করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। ফলে দুপক্ষই ব্যাপক চাপে রেখেছে ডিএমটিসিএলকে।

২০২৪ সালের আগস্টে অন্যান্য সব সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানি ও অন্যান্য দেশের মেট্রোর পদ্ধতির সঙ্গে সমন্বয় করে পদোন্নতির ব্যবস্থা চালু এবং সব ধরনের ভাতা সম্বলিত সার্ভিস রুলস দ্রুত সময়ের মধ্যে দেওয়াসহ ৬ দফা দাবিতে ডিএমটিসিএলের ৭ শতাধিক কর্মচারী কর্মবিরতি পালন করে। 

পরে ডিএমটিসিএলের বিভিন্ন পর্যায়ে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধিজনক আর্থিক সুবিধা ও অন্যান্য দাবির বিষয়ে সুপারিশের জন্য সরকারের অতিরিক্ত সচিব মো. আছির উদ্দীন সরদারকে প্রধান করে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি গত ২ ফেব্রুয়ারি সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে প্রতিবেদন জমা দেয়।

ওই প্রতিবেদনের ৫.৫ নম্বর পয়েন্টে এমআরটি লাইন-৬ এ নিয়োগ করা ৯ম থেকে নিচের গ্রেডগুলোর জনবলকে ডিএমটিসিএলের অর্গানোগ্রামভুক্ত স্থায়ী পদে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে সুপারিশে বলা হয়— ‘(ক) প্রকল্প চলাকালীন অর্জিত অভিজ্ঞতা, দেশে বিদেশে গৃহীত প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান ও কর্মদক্ষতা বিবেচনায় এমআরটি লাইন-৬ প্রকল্পে নিয়োগকৃত ৯ম থেকে ১৬তম গ্রেডের জনবলকে কোম্পানির গ্রেডে বেতন প্রাপ্তির তারিখ হতে ডিএমটিসিএলের অর্গানোগ্রামভুক্ত স্থায়ী পদে নিয়মিত করা যেতে পারে। (খ) ডিএমটিসিএলের আওতায় বাস্তবায়নাধীন অন্যান্য প্রকল্পসমূহে নিয়োগকৃত জনবলের ক্ষেত্রেও কোম্পানির গ্রেডে বেতন প্রাপ্তির তারিখ হতে ডিএমটিসিএলের অর্গানোগ্রামভুক্ত স্থায়ী পদে নিয়মিত করা যেতে পারে।’

এদিকে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি একটি খসড়া সার্ভিস রুলস ও তফসিল ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে ডিএমটিসিএল। এ বিষয়ে কোনো মতামত থাকলে ১৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে জানাতে বলে প্রতিষ্ঠানটি। 

পরদিন ১৭ ফেব্রুয়ারি ডিএমটিসিএলের সরাসরি উন্মুক্ত নিয়োগের মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত স্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হুঁশিয়ারি করে জানান, ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ চাকরি বিধিমালা প্রণয়ন না হলে, আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) থেকে মেট্রোরেল সেবা বন্ধ থাকবে। ঢাকাবাসী মেট্রোরেল সেবা থেকে বঞ্চিত হলে ডিএমটিসিএল এর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ চূড়ান্তভাবে দায়ী থাকবে।

এদিকে ১৭ ফেব্রুয়ারি ডিএমটিসিএলের আওতায় বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পগুলোতে প্রেষণে নিয়োজিত ৯-১৬তম গ্রেডের কর্মচারীরা ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে লিখিতভাবে খসড়া সার্ভিস রুলের উল্লেখযোগ্য পাঁচটি ধারা ও তফসিলসহ ১০টি পয়েন্ট তুলে ধরে জানান, পুরো খাসড়া সার্ভিস রুল ও তফসিলে অসংখ্য অসংগতি রয়েছে। যা তিন দিনের মত স্বল্প সময়ের মধ্যে বিস্তারিত বিশ্লেষণ করে মতামত প্রদান করা সম্ভব না। 

তারা আরও জানান, ডিএমটিসিএলের সংস্থা প্রধানের মতামত অনুযায়ী সার্ভিস রুল চূড়ান্ত করার আগে আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির সুপারিশগুলোর উপর ডিএমটিসিএল বোর্ডের অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করার প্রয়োজন। সরকারি সুস্পষ্ট নির্দেশনা এবং আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির সুপারিশ উপেক্ষা করে সার্ভিস রুল চূড়ান্ত করে কর্মচারীদের চাকরি নিয়মিত করার বিষয়ে বৈষম্য ও বঞ্চনা করা হলে ভবিষ্যতে প্রশাসনিক ও আইনি জটিলতার দায় দায়িত্ব কোম্পানি কর্তৃপক্ষের উপর বর্তাবে।

বিষয়টি নিয়ে দুপক্ষের একাধিক কর্মীর সঙ্গে কথা বলেছে ঢাকা পোস্ট। তবে কোনো পক্ষের কেউই নাম প্রকাশ করে মন্তব্য করতে রাজি হননি।

সার্ভিস রুলসের বিষয়ে ডিএমটিসিএলে সরাসরি নিয়োগ পাওয়া প্রকৌশলী পদমর্যাদার একজন ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রজেক্টের লোকদের মতামত দেওয়ার বিষয় এখানে থাকে না। কারণ প্রজেক্ট তো প্রজেক্টই। অন্য কোনো কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের সার্ভিস রুলসে প্রকল্পের লোকদের আত্তীকরণ করা যায় এরকম কোনো কিছু নেই। যদি সার্ভিস রুলসে প্রকল্পের লোকদের কথা থাকে, সেই কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান আইনি জটিলতায় পড়ে যাবে। প্রজেক্টের লোকেরা তখন কোম্পানিতে আসার জন্য অস্থিরতা তৈরি করবে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, প্রজেক্টের লোকেরাই এই সার্ভিস রুলসটা হতে দিচ্ছে না। শুধুমাত্র তাদের জন্য গত ১২ বছরেও এই সার্ভিস রুলস হয়নি। আমার একজন কলিগ করোনায় মারা গেছেন। সার্ভিস রুলস না থাকায় ডিএমটিসিএল থেকে তাকে এক টাকার সুযোগ-সুবিধাও দেওয়া হয়নি। আমাদের একদিনের স্যালারি কেটে তাকে আমরা সহায়তা করেছি। আজকে যদি আমি মারা যাই বা চাকরি ছেড়ে চলে যায়, তাহলে ডিএমটিসিএল আমাকে কোনো সহযোগিতা করতে পারবে না।

এই প্রকৌশলী আরও বলেন, চাকরিতে যোগদানের পর থেকে আমাদের কিছু বকেয়া দাবি-দাওয়া ছিল। আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করা হয়েছে আমাদের দাবি-দাওয়ার আর্থিক বিষয়গুলোর সমস্যা সমাধানের জন্য। কমিটি প্রজেক্টের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিতে পারে না। প্রজেক্টের লোকদের আত্তীকরণের কোনো সুযোগ আইনে নেই। ডিএমটিসিএল যদি তাদেরকে আত্তীকরণ করে, তাহলে জটিলতায় পড়ে যাবে।

২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দাবি চূড়ান্ত না হলে আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি মেট্রোরেল চালানো বন্ধ করবেন কিনা— এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি সর্বশেষ সন্ধ্যার (১৯ ফেব্রুয়ারি) মিটিংয়ে ছিলাম না। ফলে কি সিদ্ধান্ত হয়েছে তা এখনই কিছু বলতে পারছি না। তবে কেউ অপারেশন বন্ধ করতে চায় না। এখনও স্যারদের সঙ্গে আলোচনা চলছে।

কোম্পানির অন্য একজন স্থায়ী কর্মী ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা সরকারি বন্ধের দিন ডিউটি করি, কোনো ভাতা পাই না। আমরা অতিরিক্ত ডিউটি করি, তার জন্য কোনো ভাতা পাই না। আমরা যারা অপারেশনের সঙ্গে জড়িত, তারা কোনো ছুটি পাচ্ছি না। কিন্তু যারা হেড অফিসে বসে, তারা দুদিন ছুটি পায়। অন্যান্য ছুটিগুলো তারা পায়। আমরা যারা স্থায়ী কর্মী, আমরা শুধু আমাদের নিশ্চয়তাটুকু চাই।

তিনি বলেন, যারা প্রজেক্টের, তারা যদি প্রজেক্ট শেষ করে আত্তীকরণ হতে চায়, সে ক্ষেত্রে সরকার উনাদের নিলে আমাদের কোনো অসুবিধা নেই। প্রজেক্ট শেষ হওয়ার তারিখ থেকে উনারা চাকরিতে আমাদের জুনিয়র হিসেবে জয়েন করুক। বর্তমানে উনারা আরও পাঁচ ছয় বছর আগে থেকে জয়েন করেছেন প্রজেক্টে। এখন তাদের যদি সেই তারিখ থেকে নিয়মিতকরণ হয়, তাহলে আমরা যারা বিজ্ঞপ্তি দেখে চাকরিতে জয়েন করেছি আমরা ওনাদের জুনিয়র হয়ে যাচ্ছি। এ ক্ষেত্রে প্রমোশনের জন্য আমাদের দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে হবে। এতে মেধার অপব্যবহার হবে।

এই স্থায়ী কর্মী আরও বলেন, তাদের সঙ্গে আমাদের কোনো আলাপ নেই। যা হবে, নিয়ম মেনে হোক। এখন তারা যদি আমাদের সার্ভিস রুলসের জন্য বাধা হয়, তবে এটা আমাদের জন্য কষ্টকর। ইতোমধ্যে ২০০ জন কর্মী ডিএমটিসিএল ছেড়ে গেছে। ২০ তম গ্রেডের একজন কর্মী অফিস সহকারী, সেও কোনো সুযোগ সুবিধা না পেয়ে চাকরি ছেড়ে গেছে। আমরা বেসিক কিছু চাচ্ছি, আমাদের আহামরি কোনো কিছুর প্রয়োজন নেই। প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠানের একটা বিধিমালা থাকে। আমরা কিন্তু আমাদের বিধিমালার বিষয়ে তেমন কিছুই জানি না।

অন্যদিকে ডিএমটিসিএলের আওতায় বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পগুলোতে প্রেষণে নিয়োজিত একজন প্রকৌশলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, সার্ভিস রুলস বাস্তবায়ন বিলম্ব বিষয়ে আমাদের কোনো হাত নেই, লাভও নেই। উনারা ভাবছেন সার্ভিস রুলস আগে হয়ে গেলে তারা আমাদের সিনিয়র হয়ে যাবেন বিষয়টা কিন্তু তা না। সার্ভিস রুলস হওয়ার পরেও যে সুপারিশ আছে, সেটা যদি কার্যকর হয় তাহলে কিন্তু আমরাই তাদের সিনিয়র হবো। আমরাও চাই সার্ভিস রুলস তাড়াতাড়ি হোক। সার্ভিস রুলস নিয়ে কার্যক্রম গত পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে চলছে। কিন্তু উনাদের কথা হচ্ছে এটি তিন দিনের মধ্যেই বাস্তবায়ন করতে হবে। উনারা ভাবছেন যদি তাড়াতাড়ি সার্ভিস রুলস করতে পারেন, তাহলে সুপারিশগুলো পরে আর বাস্তবায়ন হবে না। কিন্তু সুপারিশগুলো পরে হলেও বাস্তবায়ন হবে।

তিনি বলেন, তারা বলেছেন তিন দিনের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন করতে হবে। কিন্তু আমরা বলেছি, এতগুলো বিষয় তিন দিনের মধ্যে বিশ্লেষণ করে দেখা সম্ভব না। ডিটেলস দেখলে আরও কিছু অসংগতি আসবে। আমরা অলরেডি কিছু অসংগতির বিষয় জানিয়েছি। এখানে তো সিনিয়রিটি-জুনিয়রিটির ইস্যু পরে। আমরা সার্ভিস রুলস বাস্তবায়নে বিলম্ব করাচ্ছি, বিষয়টা এরকম না।

অন্য একজন প্রকৌশলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, খসড়া সার্ভিস রুলস ও তফসিলে অসংগতি রয়েছে। ফলে ৩ দিনের মতো স্বল্প সময়ের মধ্যে বিশ্লেষণ না করে সব বিষয়ে মতামত দেওয়া সম্ভব না। খসড়া সার্ভিস রুল এর ১০৩ নম্বর বিধানে এই প্রেষণে পদায়নের বিষয়টা অগ্রাহ্য করা হয়েছে। আর খসড়ার উপর আমাদের বিপরীত পক্ষ আরও কাটাকুটি করে সেটাকে আমাদের ব্যাপারে একদম ন্যাড়া বানিয়ে ফেলেছে। জনবল সংক্রান্ত সরকারি নির্দেশনার কোনোরূপ তোয়াক্কা না করে শুধুমাত্র বিশেষ গোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষার্থে পক্ষপাতমূলকভাবে খসড়া সার্ভিস রুলস ও তফসিল প্রণয়ন করা হয়েছে। নিয়োগপ্রাপ্ত কোম্পানি থেকে প্রকল্পে প্রেষণে নিয়োজিত কর্মীরা আগে নিয়োগ পেয়েছেন। কোম্পানির অন্যান্য কর্মীরা নিয়োগ পেয়েছেন পরে। সম্প্রতি সরকার মনোনীত আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি প্রেষণে নিয়োজিত কর্মীদের নিয়মিতকরণের সুপারিশ করেন। সুপারিশের বিষয়ে জানতে পেরে কোম্পানির একপক্ষের কর্মীরা তড়িঘড়ি করে সার্ভিস রুল প্রণয়নে ডিএমটিসিএল কর্তৃপক্ষকে ৩ দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে মেট্রোরেল অপারেশন বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে প্রেস রিলিজ প্রকাশ করেছেন।

তিনি আরও বলেন, জনগণকে জিম্মি করে একাংশ কর্মীর স্বার্থ আদায়ের উদ্দেশ্যে মেট্রোরেল সেবা বিঘ্নিত করাকে আমরা সমর্থন করি না। দ্রুততম সময়ে সরকারি নির্দেশনার যথার্থ প্রতিফলন ঘটিয়ে জনবান্ধব সার্ভিস রুলস প্রণয়নে কর্তৃপক্ষ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে আমরা আশা করছি।

এদিকে এমন পরিস্থিতির মধ্যে ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে গতকাল বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দায়িত্ব নেন প্রকৌশলী ফারুক আহমেদ। এর আগে ৫ আগস্টের পর থেকে চলতি দায়িত্ব পালন করছিলেন মোহাম্মদ আবদুর রউফ।

এ বিষয়ে বুধবার রাত সোয়া ৯টার দিকে ডিএমটিসিএলের পরিচালক (প্রশাসন) এ. কে. এম. খায়রুল আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি কিছু জানেন না বলে ঢাকা পোস্টকে জানান।

তবে ডিএমটিসিএলের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকা পোস্টকে বলেন, এটি হিউম্যান রিসোর্স পলিসির একটি সিম্পল বিষয়। সব অর্গনাইজেশনে এমন ইন্টার্নাল কিছু থাকে। এগুলো সমাধান হয়েও যায়। এটা কোনো বড় বিষয় না।

তিনি আরও বলেন, আমাদের নতুন এমডি মহোদয় এসেছেন। উনি অনেক ইন্টারন্যাশনাল প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এটা উনার জন্য বড় কিছু না। আশাকরি সমাধান হয়ে যাবে।

/এমএইচএন/এমএসএ